সস্তায় প্লেনের টিকিট করে দেওয়ার নামে চলছিল ভুয়ো ট্র্যাভেল এজেন্সি! গ্রেফতার তিন

এদেশে এখনও বহু মানুষের কাছেই বিমানে চড়া ‘বড়লোকের ব্যাপার’। কিন্তু চিকিত্সা করাতে যাওয়া, আপদকালীন প্রয়োজন বা নেহাত্ই শখের কারণে অনেকেই বিমান যাত্রার পরিকল্পনা করেন। আর সেই সময়েই সবচেয়ে সস্তায় কীভাবে টিকিট পাওয়া যায়, তার খোঁজ করেন। আমজনতার সেই চাহিদাকেই কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল এক প্রতারণা চক্র।

ডিসকাউন্টে এয়ারলাইন টিকিট দেওয়ার অজুহাতে ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে মোটা টাকার প্রতারণা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পার পেলেন না ৩ অভিযুক্ত। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ৩ জনেই।

অভিযুক্ত রোহিত কুমার মাট্টা(৩৫), সুনীল কুমার(৩৭) এবং পারভিন তিওয়ারি(৩৫) ট্রাভেল এজেন্ট হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতেন। বলতেন ২৫-৫০ শতাংশ ছাড়ে এয়ারলাইন টিকিটের ব্যবস্থা করে দেবেন। এরপর সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে যেতেন রোহিত-সুনীন-পারভিনরা।

নেহাত্ই কম টাকা নয়। এক ভুক্তভোগীর থেকে টিকিটের দাম হিসাবে ৬২,৭৫০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছিলেন তিন অভিযুক্ত। এরপরেই তাঁদের নামে প্রতারিত ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তরা চণ্ডীগড়ের জিরাকপুরে লুকিয়ে আছেন। জিরাকপুরে রীতিমতো ঝটিতি অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জেরায় পুলিশের কাছে পুরোটাই স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্তরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘সিদ্ধি বিনায়ক’ নামে এক ভুয়ো ট্রাভেল এজেন্সি চালাতেন। গুগল এবং জাস্ট ডায়ালে দেওয়া নম্বরের মাধ্যমেই বেশিরভাগ ‘ক্লায়েন্ট’দের ফাঁদে ফেলতেন।

কেউ বিমানের টিকিট বুক করার জন্য যখনই গুগল বা জাস্ট ডায়াল খুলতেন, সেখানেই এই ‘সিদ্ধি বিনায়ক’ ট্রাভেল এজেন্সির নম্বর পেতেন। তাদের বিজ্ঞাপনে দারুণ ছাড় দেখেই ফোন করতেন অনেকে। কিন্তু এই ধার্মিক নামের আড়ালেই যে ভণ্ড ট্র্যাভেল এজেন্টরা লুকিয়ে তা কল্পনাও করতে পারতেন না কেউই।

ঠিক কীভাবে টাকা ‘ঝাড়া’ হত?

বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যোগাযোগ করলে প্রথমে সত্যিই তাদের টিকিট বুক করে দেওয়া হত। নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকেই সেই পেমেন্ট করত প্রতারকরা। এরপর তাদের সেই টিকিটের ডিটেলস পাঠিয়ে টাকা পেমেন্ট করে দিতে বলা হত। খুশি হয়ে গ্রাহকরা অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে দিতেন। সেই টাকা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতারকরা টিকিট ক্যানসেল করে দিতেন। ফলে নিজেদের টাকার রিফান্ড পেয়ে যেতেন। এদিকে গ্রাহকের টাকাটা ঢুকিয়ে নিতেন নিজেদেরই পকেটে।

পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন, ডেবিট কার্ড, আধার কার্ড এবং প্যান উদ্ধার করেছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup