Eye Care Tips: সারাক্ষণ ফোন ঘাঁটছেন নাকি? চোখের ক্ষতি হতে পারে, বাঁচবেন কী করে

স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও চলে না? দিনে দিনে বাড়ছে ফোনের ব্যবহার। কিন্তু আপনার হয়তো জানা নেই, অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ। অতিরিক্ত মোবাইল, টিভি, কম্পিউটারের ব্যবহারের ফলে শুকিয়ে যেতে পারে চোখ। এছাড়াওচোখ ফুলে যাওয়া, অতিরিক্ত লাল হয়ে যাওয়া, ও চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে।আসুন দেখে নেওয়া যাক, শুষ্ক চোখের কারণ কী কী?

ভিটামিনের অভাব: ভিটামিন A-র অভাবে হতে পারে এই সমস্যা। ভিটামিন A চোখের রেটিনার জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এর অভাবে হতে পারে এই সমস্যা।

ডায়াবিটিস: আপনি যদি ডায়াবিটিসে ভোগেন, তাহলে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁরা অতিরিক্ত সাবধান হবেন। 

স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার: রাত দিন মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রাখেন? অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহার করেন? এর ফলে এই জাতীয় ডিভাইসের স্ক্রিনের নীল আভা আপনার রেটিনার ক্ষতি করতে পারে। ডেকে আনতে পারে চোখের সমস্যা। 

চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বা হরমোন জনিত কারণে আপনার চোখে আর্দ্রতার পরিমান কমতে থাকে। আর্দ্রতা ঠিক মতো বজায় থাকে না। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। এটি ডেকে আনে চোখের নানা রোগ। 

পরিবেশগত কারণ: শুষ্ক, গরম বাতাস, এসির ব্যবহার, অতিরিক্ত বই পড়া, বা আপনি যদি কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তাহলে এই সমস্যা হতে পারে।

কম জল পান: আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম জল খান, অতিরিক্ত সময় রোদে কাটান, তাহলে হতে পারে এই সমস্যা। চিকিৎসকরা বলেন দিনে অন্তত ১০ গ্লাস বা ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া উচিত।

তবে চাইলে এই সব সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। তার জন্য মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া উপায়।

পর্যাপ্ত জল খান: প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে। কফি, অ্যালকোহল যুক্ত অন্যান্য পানীয় পান করা কমাতে হবে।

ফল আর ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার খান: রসালো ফল, যেমন তরমুজ, শসা, স্ট্রবেরি, পিচ— অর্থাৎ যে সব ফলে জলের পরিমান বেশি, সেগুলি খাওয়া ভালো। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। ডিম, মাছের তেল, গাজর, বাদামে আছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা অ্যসিড।

চোখের ব্যায়াম: একনাগাড়ে অনেক ক্ষণ এক দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ তাড়াতাড়ি আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। তাই মাঝেমধ্যে চোখের পাতা ফেলুন। চোখের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে, চোখের এমন ব্যায়াম করতে হবে। মিনিটে ১৫-৩০ বার চোখের পাতা পিটপিট করা প্রয়োজন। 

গরম ভাপ: হালকা গরম জলে পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো ডুবিয়ে নেওয়ার পরে, সেটি নিংড়ে নিয়ে চোখের ওপর পাঁচ মিনিট রাখুন। এর পরে আঙুলের হালকা চাপে চোখের ওপরের ও নিচের পাতায় কাপড়টা মালিশ করুন। এতে চোখের ভিতরের ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কাপড় ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত এটা করতে পারেন।

নারকেল তেল: এটি চোখ আর্দ্র রাখে, জ্বালা-পোড়াভাব কমায়। পরিষ্কার তুলোয় নারকেল তেল দিয়ে চোখের ওপর ১৫ মিনিটের জন্য রাখতে পারেন।

গোলাপ জল: গোলাপ জল চোখের জন্য উপকারী।তুলোর সাহায্যে চোখের পাতায় লাগান। আরাম দেবে।

এই সমস্ত উপায়ে যদি আপনার কাজ না হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।