মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রশ্ন ভুল মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মশিক্ষা বিষয়ের বিভাগীয় প্রধানকে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। হলফনামা আকারে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। অনেক টালবাহানার পর পরীক্ষা হয়েছিল ২০২১ সালে। ওই বছরই ফল প্রকাশ হয়। ইতিমধ্যেই ৩১৮৩ জনকে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। তবে কর্মশিক্ষা বিষয়ে শূন্যপদ ছিল ৮০ জন। মামলাকারীদের আইনজীবী আলী আহসান আলমগীর জানান, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রশ্নপত্রে ৫৫টি প্রশ্ন ছিল। ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যে প্রশ্ন ছিল তার মধ্যে ২৯টি প্রশ্ন হুবহু এক ছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায়। এমনকী প্রশ্নের উত্তরের অপশনও হুবহু একই ছিল। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন যে উত্তর সঠিক বলে দাবি করছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সেই উত্তরকে সঠিক বলে দাবি করছে না। এরকম ১০টি প্রশ্ন রয়েছে। সব মিলিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে এই ১০টি প্রশ্নের উত্তরে। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা চলছিল। অবশেষে প্রশ্নের উত্তর সঠিক কিনা তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠাল হাইকোর্ট। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী জানান, এই প্রশ্ন ভুলের জন্য মামলাকারীরা এক বা দুই নম্বর কম পেয়েছেন। সে ক্ষেত্রে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের উত্তর ভুল থাকলে তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পাবেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ উঠেছিল। সে ক্ষেত্রে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি সমস্যার সমাধান করেছিল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup