একগুচ্ছ কর্মসূচিতে এদিন ব্যস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার পাঁচলায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে গরফা সেতুর উদ্বোধন করেন দিদি। এরপর কর্মসূচি শেষে ফেরার সময় গরফা সেতুতে খানিকক্ষণ থামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। আচমকাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে পূর্ব দফতরের সচিব অন্তরা আচার্যের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীকে আচমকা দেখে ততক্ষণে রাস্তার আশপাশে ভিড় জমতে দেখা যায়।
রাস্তার দুই ধারে আস্তে আস্তে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরও ভিড় জমতে থাকে। সকলের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় মমতাকে। এদিন দিদির মুখে উঠে আসে হাওড়া জেলা প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা। একইসঙ্গে পূর্ত দফতরের কর্মীদেরও প্রশংসা করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘আজ খুব ভালো লাগছে দেখে।’ মমতা বলেন, এই সেতু হাওড়ার নতুন রূপ। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ার উন্নতি প্রকল্প নিয়ে সরাসরি আশ্বাস দেন,’আরও কাজ হবে’। মমতা বলেন,’অনেক মানুষের সুবিধা হবে এই সেতু নির্মাণের ফলে।’ তবে কোনা এক্সপ্রেস ওয়েতে ট্রাফিক ঘিরে চাপ ছিল এই এলাকার বড় সমস্যা। মূলত, সাতরাগাছি ব্রিজ ঘিরে এই চাপ থাকে। আর তারফলে ট্রাফিকের জেরে নিত্যযাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন। নিত্য যানজটের সমস্যা শুরু হয়। সেই সাঁতরাগাছি ব্রিজের চাপ কমাতে নতুন ব্রিজ বেশ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এলাকায়। আর তা নিয়ে মমতার আশ্বাস,’ বিশ্বাস রাখুন তা হবে।’ উল্লেখ্য, এদিন এই গরফা ব্রিজ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার দিকে যাওয়ার পর ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য।
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার পাঁচলায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে বাম আমলের প্রশাসনিক কার্যকলাপ নিয়ে সপর চড়ান দিদি। পাশাপাশি ক্ষোভের সুরে মোদী সরকারকেও তোপ দাগেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চনা করছে, এমন অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘ ১০০ দিনের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দেয়নি। গরিব লোকের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্র।’ পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘গরীবের টাকা মারবেন না।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup