ওজন কমাতে ফাস্টফুড থেকে তেলেভাজা সবরকম খাবার বন্ধ করার নিদান দেন চিকিৎসকরা। এইসব খেলেই নাকি বেড়ে যায় ওজন। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যারা খেলাধুলো করেন রোজ তাদের তো আরও খাওয়া উচিত নয়। এমনকী শরীরচর্চা করে তাগড়াই চেহারা বানাতে চান যাঁরা, তাদেরও মেনে চলতে হয় কড়া ডায়েট। তবে রায়ান মার্সার নামে এক তরুণ করলেন ঠিক উল্টো কাজটিই। রোজ নিয়ম করে পিৎজা খেলেন দুবেলা। তাতে ওজন বাড়ল তো না-ই, বরং তরতরিয়ে কমল একমাসের মাথায়! কীভাবে সম্ভব হল জানেন?
সে কথা রায়ান মার্কার নিজেই জানাচ্ছেন। পেশায় ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক রায়ান। তাঁর প্রিয় খাবারগুলির মধ্যে প্রথম পছন্দ হল পিৎজা। এই পিৎজাকে নিয়েই চরম চ্যালেঞ্জ নিলেন রায়ান। অন্য সব খাবার বাদ দিয়ে সকাল বিকাল দুপুর রাত সবসময় পিৎজা খাওয়ার চ্যালেঞ্জ নেন তিনি। দিনে সব মিলিয়ে দশটি বড় টুকরো পিৎজা খেতেন তিনি। একমাস টানা একই রুটিনে চলার পর শরীরে কিন্তু এক ফোঁটা মেদও জমেনি। বরং ৩০ দিনের মাথায় তাগড়াই মাসল তৈরি করেছেন রায়ান। তার পিৎজা খাওয়ার সেই ছবিও পোস্ট করেছেন ট্রেনার।
সেই পোস্টে একইসঙ্গে তিনি লেখেন, এই সময় পিৎজা বাদে কোনওরকম জাঙ্ক ফুড ও তৈলাক্ত খাবার খাননি। কেন হঠাৎ এমন অদ্ভুত পরিকল্পনা? রায়ান জানাচ্ছেন ওজন কমাতে ক্যালোরি কমানো জরুরি। সেটা প্রমাণ করতেই দিন রাত পিৎজার মতো উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারে ভরসা রাখেন। তাঁর কথায়, প্রিয় খাবারটি খেয়েও ওজন কমানো যেতে পারে। সেটি দেখিয়ে দিতেই এমন চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। শুধু ক্যালোরি কমানো নয়, প্রিয় খাবার ডায়েট থেকে বাদ না দিয়েও শরীর চাঙ্গা তা দেখাতেই এমনটা করেন তিনি।
রোজ কত টাকা খরচ হত পিৎজা কিনতে? মার্কার জানান, এমনিতে তার সাধারণ ডায়েট সাত থেকে ১০ ফল থাকে। এছাড়াও থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। সেখানে সব মিলিয়ে রোজ ৮০০ ক্যালোরি থাকে তার সাধারণ ডায়েটে। জানুয়ারি মাসে সেই ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২১০০ ক্যালোরি। শনি ও রবিবারে ২৭০০ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার খেতেন তিনি। এছাড়াও, রোজ স্ন্যাকস খাওয়ার জন্য তিন ইউরো করে খরচ করতেন। রোজ একই পিৎজা নয়, মাঝে মাঝে স্বাদবদলের জন্য আলাদা রেসিপির পিৎজাও অর্ডার দিতেন রায়ান। সেই রুটিনেই ফিট রয়েছেন তিনি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup