গড়িয়াহাটে কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনায় জেরার মুখে মালিক নিশীথ রায়। কারণ তিনিই গাড়ির মালিক। ওই টাকার সঙ্গে আদৌ তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই টাকা উদ্ধারের সঙ্গে হাওয়ালা যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পেশায় ব্যবসায়ী নিশীথের বাড়ি বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দুলাল মণ্ডল এবং মুকেশ সরস্বত নামে দু’জন। আর এই তিনজনকে লালবাজারে জেরা করছেন গোয়েন্দারা।
এই টাকার নেপথ্যে কি হাওয়ালা যোগ? কলকাতা পুলিশের এআরএস ও এসটিএফের যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকা। সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীর থেকে বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছিল। গড়িয়াহাটের কাছে এই টাকা হাতবদল হচ্ছিল। এই বিপুল পরিমাণ টাকা রাস্তায় হাতবদল করার পিছনে বড় কারণ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। দুই ব্যবসায়ীর খোঁজ মিললে এই রহস্যের সমাধান হবে বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা।
এটা কি ব্যবসার টাকা? গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি টাকা। রাতে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। কিন্তু এই টাকার উৎস জানতে তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। রাতে গাড়ির মালিক নিশীথ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন হয় তদন্তকারীরা। তাঁর দাবি, তিনি গাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন। এই লেনদেনের জন্যই গাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই টাকা কোনও ব্যবসার টাকা নয়। এই টাকার সঙ্গে হাওয়ালা যোগ থাকতে পারে। তাই কোন কাজে এই টাকা ব্যবহৃত হচ্ছিল, এই টাকা হাতবদল হয়ে কোথায় যেত—খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সল্টলেক থেকে বড়বাজারে পাঠানো হচ্ছিল টাকা। কিন্তু কার যাচ্ছে যাচ্ছিল সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই বালিগঞ্জ থেকে দেড় কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। তাই তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হচ্ছে। আর এক ব্যবসায়ীর নাম জানতে চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। এই টাকার উৎসও জানতে চাওয়া হচ্ছে। এখানে বড় কোনও চক্র আছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup