Pakistani Economy: IMF-কে বুঝিয়ে শুনিয়েও অর্থ সাহায্য পেতে ব্যর্থ পাকিস্তান, দাবি রিপোর্টে

অর্থনৈতিক ভাবে ধুকছে দেশ। এর জেরেই আইএমএফ-এর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। সেই সাহায্য আদৌ দেওয়া হবে কি না, সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই সেদেশে গিয়েছিলেন আইএমএফ কর্তারা। পাকিস্তানি সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। এদিকে আইএমএফ-এর শর্ত মেনে বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছিল শেহবাজ শরিফের সরকার। তবে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই পক্ষের বৈঠকের ফলাফল ইতিবাচক ছিল না। এই আবহে আইএমএফ-এর থেকে যেই অর্থ সাহায্য পাওয়ার আশা করে থাকলেও সংস্থার কর্তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে পাক সরকার।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানে আইএমএফ কর্তাদের শেষদিন ছিল। সেই দিন রাতেও পাক সরকারি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আইএমএফ প্রতিনিধিরা। তবে পাক মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও চুক্তিতে পৌঁছায়নি দুই পক্ষ। যদিও পাক অর্থ মন্ত্রকের সচিব আশাবাদী যে আগামীতে ঠিকই আইএমএফ-এর সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছবে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, আইএমএফ-এর থেকে এই অর্থ সাহায্য না পেলে দেউলিয়া অবস্থা হয়ে যাবে পাকিস্তানের। এদিকে সেদেশের সংবাদ চ্যানেল জিও নিউজকে পাক অর্থ মন্ত্রকের সচিব হামিদ শেখ বলেন, ‘আইএমএফ-এর সাথে পূর্বশর্ত ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি চুক্তি হয়েছে।’ এদিকে পিটিভি-র তরফে অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের উদ্ধৃত করে রিপোর্ট করা হয়েছে, এখনও কিছু বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি রয়েছে। আলোচনা চলবে।

উল্লেখ্য, দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক বিপত্তির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। সেদেশে আর্থিক বিপত্তি কাটাতে একের পর এক চেষ্টা চালিয়েও কোনও লাভের মুখ দেখেনি শেহবাজ সরকার। আর্থিক সংকট থেকে বের হতে আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়া পাকিস্তানকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে বেশ কিছু শর্ত মেনে নিয়েছিল ইসলামাবাদ। তবে কিছু শর্ত নিয়ে সমস্যা ছিল। এর আগে, ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সেদেশ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক প্যাকেজ পেয়েছিল আইএমএফ-এর থেকে। তবে এরপর আসে করোনা। আর তারপর বিধ্বংসী বন্যা। পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির পর থেকে আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হতে শুরু করে। এদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে টান পড়ে। ক্রমেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। শুরু হয়েছে রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেলের ঘাটতি। জ্বালানির দাম সেদেশে আকাশ ছুঁয়েছে। বিভিন্ন ভিডিয়োতে উঠে আসছে রুটি থেকে ভাত নিয়ে কাড়াকাড়ির ছবি। এই পরিস্থিতিতে আইএমএফ-এর সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি না হলে সেদেশের অবস্থা আরও করুণ হবে, তা বলাই বাহুল্য।