কেন্দ্রীয় টেটে ভালো রেজাল্ট হয়েছিল। রাজ্য টেটেও যে ভালো ফল করবেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। তবে একেবারে যে প্রথম হয়ে যাবেন, সেই কল্পনাও করতে পারেননি পূর্ব বর্ধমানের আলমগঞ্জের ইনা সিং। তবে সেখানেই থামতে চান না। এবার ডব্লুউবিসিএসের স্বপ্নপূরণ করতে মরিয়া ইনা।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক টেটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫০-র মধ্যে ১৩৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন ইনা। সেই খবর আলমগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছাতেই উচ্ছ্বাসে ভেসে যান বছর তিরিশের তরুণী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তারইমধ্যে বাড়ির উঠোনে বসে ইনা বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল। সবকিছু জানতে পেরে খুবই খুশি। এরকম র্যাঙ্ক যে হবে, সেটা একেবারেই আশা করিনি।’
ইনা জানান, ২০১৬ সালে স্নাতক স্তরের (ইংরেজিতে স্নাতক) পড়াশোনা শেষ করেছিলেন। তারপর বিএড করেছেন। ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় টেট দিয়েছিলেন। তাতে যথেষ্ট ভালো ফল করেছিলেন বলেও জানান ইনা। রাজ্য টেটের প্রথম স্থানাধিকারীর কথায়, ‘২০২১ সালে আমি যখন কেন্দ্রীয় টেট দিয়েছিলাম, তখন নম্বর ছিল ১৩১। সেখানেও আমার ভালো র্যাঙ্ক ছিল। তো আমি আশা করেছিলাম যে রাজ্য টেটও খুব ভালোভাবে পাশ করে যাবে। কিন্তু এভাবে প্রথম যে হব, সেটা ভাবতেও পারিনি।’
আরও পড়ুন: Primary TET 2022 Results Latest Updates: প্রকাশিত প্রাথমিক টেটের রেজাল্ট, প্রথম দশে ১৭৭ জন! শীর্ষে পূর্ব বর্ধমানের মেয়ে
টেটের জন্য প্রস্তুতি-পর্ব
ইনা জানান, একটি স্কুলে চাকরি করতেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করেছেন। প্রচুর টিউশনিও করতেন। কিন্তু প্রাথমিক টেটের প্রস্ততি নেওয়ার জন্য সব ছেড়ে দেন। শুধুমাত্র টেটের প্রস্তুতিতে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। ইনার কথায়, ‘প্রস্তুতি খুব ভালোভাবেই নিয়েছিলাম। আমার কিছু শারীরিক অসুস্থতাও আছে। তবে প্রস্তুতিতে একদিনও ফাঁক দিইনি। কোনওদিন থেমে থাকিনি। এক ঘণ্টা হলে এক ঘণ্টা পড়তাম। দু’ঘণ্টা হলে দু’ঘণ্টা পড়তাম। ১০ ঘণ্টা হলে ১০ ঘণ্টা পড়তাম।’
আরও পড়ুন: Primary TET 2022 Results Highlights: প্রথম দুটি স্থানে মোট ৫ জন, সকলেই মেয়ে! প্রাথমিক টেটে মহিলাদের জয়জয়কার
চাকরির দাবিতে হবু শিক্ষকদের আন্দোলন
লাগামছাড়া নিয়ম দুর্নীতির মধ্যে এবারের টেট পরীক্ষা হয়েছে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন হবু শিক্ষকরা। সেই বিষয়টি ইনা বলেন, ‘আমার সাফল্যকে তো আমি খুব ভালো চোখেই দেখছি। যাঁরা ফাইট করে যাচ্ছেন, তাঁদের ফাইটারের চোখে দেখছি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিশ্রমের দাম পেয়েছি। বাকি যাঁরা পরিশ্রম করেছেন এবং করে যাচ্ছেন, তাঁরাও যেন সেই পরিশ্রমের দাম পান, সেই কামনাই করব।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)