রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সব দেশকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ছবিঃ সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলোর মূলোৎপাটনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘বালি প্রসেস যেন সমস্যার সাময়িক উপশমের উপলক্ষ না হয়। বালি প্রসেসকে কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে।’

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার এডিলেইডে অনুষ্ঠিত বালি প্রসেস ফোরামের মানব পাচার ও চোরা চালান এবং এ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আপরাধ বিষয়ক ৮ম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তৃতাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহবান জানান। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুদ্ধ ও সহিংসতা, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, নিয়মিত অভিবাসনের স্বল্পতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর মত সমস্যাগুলো অনিয়মিত অভিবাসন বাড়াতে অবদান রাখছে, যা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনে সকল দেশকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, মানবিক সাহয্যের পাশাপাশি শরণার্থী ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার বিষয়টি অস্ট্রেলিয়া বিবেচনা করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অধিক ভূমিকা রাখাসহ সেদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণের বিষয়ও বিবেচনা করবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে ড. মোমেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ান দেশগুলোকে যুক্ত করতে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। সূত্রঃ বাসস

রেজানুল/সা.এ