কয়েকটা নেতার কুকর্মের জন্য…কোচবিহারে কবুল করলেন অভিষেক, কয়লা খোঁচা বিজেপির

কোচবিহারের মাথাভাঙায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। সেই সভা থেকে দলের দুর্নীতির প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।তবে বিরোধীদের দাবি, যার বিরুদ্ধে কয়লাকাণ্ডের অভিযোগ তিনি আবার দুর্নীতির কথা কী বলবেন।

অভিষেক বলেন, আমাদের কিছু ভুল ত্রুটির কারণে ২০১৯ ও ২০২১ সালে মানুষ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। প্রত্যেক নেতাকে অনুরোধ করব কাল থেকে মানুষের বাড়ি বাড়ি যান। মানুষ তৃণমূলকে চায়। কয়েকটা নেতার অপকর্ম আর কুকর্মের জন্য মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দলের জন্য় আমি মানুষের কাছে মাথানত করতে প্রস্তুত। বাংলার সম্মানের জন্য বাংলার মানুষের কাছে মাথানত করব। দু চারটে লোকের জন্য যদি দলের মাথানত হয় তবে তাদের ছেড়ে কথা বলব না। সে যত নেতার ছত্রছায়ায় থাকুক।

এরপরই তৃণমূলে কারা প্রার্থীপদ পেতে পারেন তানিয়েও মুখ খোলেন তিনি। অভিষেক বলেন, আজকে আমি আবারও বলছি যে মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে, গ্রামের মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবেন সেই তৃণমূলের প্রার্থী। কারোর ছত্রছায়ায় থেকে বোতল বয়ে, ব্যাগ বয়ে চাটুকারিতা করে গ্রামে পঞ্চায়েতের কেউ প্রার্থী হবেন না। একথা বলে যাচ্ছি।

তবে অভিষেকের এই বক্তব্যকে ঘিরে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে বিগত দিনে কোচবিহারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা। সেই সময় টিকিট না পেয়ে দলে দলে যুব নেতারা নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই গোঁজ প্রার্থীদের বাগে আনতে হিমসিম খেয়েছিল দল। এবারও টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে ফের দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিবারই টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেয়। যুব মাদারের দ্বন্দ্বকে ঘিরে বার বার তপ্ত হয়েছে কোচবিহার। এবারও সেই সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কারা টিকিট পাবেন সেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে এদিন অভিষেক অবশ্য় কারা টিকিট পাবেন সেটা অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছেন। নেতার তল্পিবাহকরা যে টিকিট পাবেন না সেটাই নিশ্চিত করেছেন তিনি। কিন্তু দলের নীচুতলা কি সেই ফর্মুলা মেনে নেবে?

তবে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা সহ একাধিক বিজেপি নেতার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। কয়লাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে যার তিনিই আবার দুর্নীতির কথা বলছেন।