Axar Patel Propels India To 400, Leading By A Commanding 223 Runs

নাগপুর: বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির প্রথম টেস্টে নাগপুরে চালকের আসনে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানে অল আউট করে দেওয়ার পর ভারত প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান বোর্ডে তুলে নিল। প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানের লিড নিল রোহিত বাহিনী। রবীন্দ্র জাডেজার পর অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন অক্ষর পটেলও। ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। লোয়ার অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন মহম্মদ শামি। তিনি ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন।

গতকাল জাডেজা ও অক্ষর পটেল ক্রিজে ছিলেন। ২ জনেই অর্ধশতরান করেছিলেন। এদিন সকালে প্রথমে মার্ফির বলে বোল্ড হয়ে যান জাডেজা। ৭০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। জাডেজা ফিরলেও অক্ষর পটেলকে ফেরাতে কালঘাম ছুটে যায় অজি বোলারদের। ভারতীয় অলরাউন্ডারের সঙ্গে যোগ দেন মহম্মদ শামিও। একপ্রকার ওয়ান ডে-র ধাঁচে খেলে ৩৭ রান করেন তারকা পেসার। টেস্টে ২৩টি ছক্কা হাঁকান শামি। শামি ফিরে যাওয়ার পর সিরাজকে নিয়ে চারশোর গণ্ডি ছুঁয়ে নেন অক্ষর পটেল। প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানের লিড নিয়ে নেয় ভারত। অক্ষর তাঁর ৮৪ রানের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান।

রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) সেঞ্চুরি সত্ত্বেও একটা সময় ২৪০/৭ হয়ে গিয়েছিল ভারত (Ind vs Aus)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের বড় রানের লিড নেওয়ার পক্ষে বাজি ধরেছিলেন যাঁরা, তাঁরাও তখন কিছুটা ঢোঁক গিলছিলেন যেন।

অস্বস্তির মেঘ কেটে গেল একটি পার্টনারশিপে। অবিচ্ছেদ্য অষ্টম উইকেটে ৮১ রান যোগ করলেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja) ও অক্ষর পটেল (Akshar Patel)। ১৭০ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন জাডেজা। অক্ষর ১০২ বলে ৫২ রান করে ক্রিজে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩২১/৭। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ১৪৪ রানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। ম্যাচের রাশ আপাতত ভারতেরই দখলে।                                               

  

ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করার পর ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে অক্ষর পটেল বলেছেন, ‘গত এক বছর ধরেই ব্যাট হাতে ভাল পারফর্ম করছি। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগল। আমি বরাবরই জানতাম আমার টেকনিক ভাল। যখনই সুযোগ পাই, আমার টেকনিক নিয়ে পরিশ্রম করি। কোচিং স্টাফদের সঙ্গে সময় কাটাই। সকলেই আমাকে বলেন যে, আমার মধ্যে দক্ষতা রয়েছে। যে কারণে আমি অবদান রাখতে চেয়েছিলাম। এই পিচে ব্যাট করতে নামলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ক্রিজে খানিকটা সময় কাটানোর পর পরিস্থিতি সহজ হয়ে যায়।’