HIV patient kidney transplant: এডস রোগীর দেহে এভাবে কখনও কিডনি প্রতিস্থাপন হয়নি, নজির ভারতীয় চিকিৎসকের

দুজনেই এইচআইভি পজিটিভ। একজন অঙ্গদান করলে তবেই অন্যজনের শরীর সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে বাধা অনেক। প্রথম বাধা এইচআইভি পজিটিভ। তার থেকেও জটিল ব্যাপার রক্তের গ্রপ আলাদা। এমন অঙ্গ প্রতিস্থাপন যেমন বিরল, তেমন ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সব বাধাকেই জয় করেছেন চিকিৎসক শচীন সোনির নেতৃত্বে মেডিকভার হাসপাতালের এক বিশেষজ্ঞ দল। আর তার সঙ্গেই পৃথিবীতে প্রথম এমন জটিল প্রতিস্থাপনের শিরোপা জিতে নিলেন কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শচীন সোনি।

ঔরঙ্গাবাদের মেডিকভার হাসপাতালে এই জটিল অস্ত্রপচার করা হয়। অস্ত্রপচারের পর খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন দুজনেই। বাড়ি গিয়ে তারা রোজকার কাজও করছেন স্বাভাবিকভাবে। কিডনির সমস্যায় প্রায় তিন বছর ধরে ভুগছিলেন নীতিন দেশাই (নাম পরিবর্তিত)। বাড়িতেই সিএপিডি পদ্ধতিতে ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর। কিন্তু দিন দিন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছিল। কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন নীতিন। কিন্তু কে দেবে কিডনি? ৪৬ বছর বয়সী নীতিন ২০০৮ সালে এইচআইভি-তে আক্রান্ত হন। সেই সময় থেকেই অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি শুরু হয় তাঁর। ২০১৯ সালে উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে তাঁর। সেই থেকেই ডায়ালিসিস। ২০২০ সালে চিকিৎসক সোনিকে বলাতে বাড়িতে ডায়ালিসিসের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। এরপরেই কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত। তার স্ত্রী-ও তখন এইচআইভি পজিটিভ। দুজনেই নিয়মিত অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি নিচ্ছেন। স্বামীর সংকটে স্ত্রী এগিয়ে আসেন। চিকিৎসককে জানান, তিনিই দান করবেন তাঁর একটি কিডনি। দুজনেই এইচআইভি পজিটিভ হওয়ায় কিছু গুরুত্বপূর্ণে কাগজে সই করতে হয়। তবে বাধ সাধল রক্তের গ্রুপ। সব মিললেও রক্তের গ্রুপ আলাদা! স্বামীর এ পজিটিভ রক্ত হলেও তাঁর বি পজিটিভ।

এইখানেই কেরামতি দেখান চিকিৎসক শচীন সোনি। অঙ্গ দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যায়। বিজ্ঞানী পরিভাষায় একে এবিও ইনকম্প্যাটিবল ট্রান্সপ্লান্টেশন বলা হয়। সেই জটিল অস্ত্রপচারেরই সিদ্ধান্ত নেন শচীন সোনি। সেই মতো পরিবারের অন্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথাও বলেন নিজে। এমন অস্ত্রপচারের ঝুঁকির কথাও জানান। তবে স্বামীকে সারিয়ে তুলতে স্ত্রী-এর ইচ্ছে ছিল অদম্য। শেষ পর্যন্ত সব ব্যবস্থাপনার পর বিশেষজ্ঞ দলের চেষ্টায় চিকিৎসক সোনির নেতৃত্বে সফল হয় অস্ত্রপচার।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে চিকিৎসক সোনি জানান,এমনিতেই দুজনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। তার উপর এমন প্রতিস্থাপনে আরও দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চার ঘন্টা ধরে চলে এই জটিল অস্ত্রপচার। শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসায় অনেকটাই স্বস্তি বোধ করছেন তারা। তার কথায়, দাতা ও গ্রহীতা এখন বাড়ির কাজ স্বাভাবিকভাবে করতে পারছেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup