Sukanta Majumdar: সুকান্তের সঙ্গে বৈঠকের পরই রাজ্যকে সতর্ক করে কড়া বিবৃতি জারি রাজ্যপালের

পঞ্চায়েত নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে হবে, দুর্নীতিতে চাই ‘জিরো টলারেন্স’, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে কিছুক্ষণ পর বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার সকালে রাজভবনে যান সুকান্ত মজুমদার। প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠক হয় তাদের মধ্যে। সেই বৈঠকে একটি অভিযোগপত্রও রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন তিনি। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি দিয়ে ‘কড়া অবস্থান’ জানালেন রাজ্যপাল বোস।

বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, গত দু’মাসের অভিজ্ঞতা থেকে মূলত তিনটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার। এক, ভারতের সংবিধান অক্ষুন্ন রাখা। দুই, আইনের শাসন সুনিশ্চিত করা। তিনি, বাংলার মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বিজেপি সভাপতির সঙ্গে তাঁর আলোচনার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। প্রেস বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, দুর্নীতি রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ ভূমিকা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকরী ও সক্রিয় হস্তক্ষেপ করতে হবে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে তাঁর সঙ্গে আলোচনায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা-ও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবনের বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‌বাংলার রাজনীতিকে রাজ্যপাল দুর্নীতি এবং হিংসামুক্ত করার পক্ষে। দুর্নীতিতে যুক্ত কেউ রেহাই পাবেন না বলে জানিয়েছেন। আইনি পথে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজ্য বিজেপি সভাপতির এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌আসলে আমাদের কাছে খবর আছে, রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভায় অসভ্যতা করা হয়েছে, তাতে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল।’ তিনি আরও বলেন,’দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স বলছেন তো! সিবিআইয়ের এফআইআর–এ নাম থাকা, ঘোষিত তোলাবাজ শুভেন্দুর নেতৃত্বে যে অসভ্যতা হয়েছে তাতেই মর্মাহত রাজ্যপাল। তাই ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। তাই শুভেন্দুকে নিয়ে যাননি।’‌