গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী বাজারে বিএনপির পদযাত্রা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজাদ পণ্ডিত বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এই মামলা করেন।
মামলায় শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল এবং বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ উদ্ধার করে। শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম মাস্টার, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী, বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ উদ্দিন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মামুন ফকির, রাজাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হক, মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সরকার, গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান, গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শোভন বেপারীসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম মাস্টার দাবি করেন, পুরো ঘটনাটি মিথ্যা এবং বানোয়াট। হমালা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির কোনও নেতাকর্মী জড়িত নন। সরকার বিএনপির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বরাবরের মতো এ মিথ্যা মামলা করেছে।
শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী দাবি করেন, এ মামলায় গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শোভন বেপারীকেও আসামি করা হয়েছে। এতেই প্রতীয়মান হয় মামলাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য আওয়ামী লীগ এ মামলা করেছে।
শ্রীপুর থানার এসআই শাহাদাত হোসেন জানান, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বরমী বাজারে বিএনপির পদযাত্রা চলার সময় আসামিরা বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করে। এ সময় তারা কার্যালয়ের কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর এবং উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে আহত করে। পদযাত্রা থেকে জাহিদুল ইসলাম ওরফে উত্তরের জাহিদ নামে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এ মামলায় আসামি বরমী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আফাজ উদ্দিন প্রধানসহ তাদের দুই কর্মী খলিলুর রহমান ও তায়িমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।