রাজারহাট রোডের আবাস থেকে উদ্ধার হল তরুণী বার ডান্সারের দেহ। এই ঘটনায় তরুণীর সহবাস সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ধৃতের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন তরুণী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম শ্বেতা রানি পঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা। ভিআইপি রোড লাগোয়া বিভিন্ন বারে নৃত্য পরিবেশন করতেন তিনি। থাকতেন রাজারহাট রোডে এক বহুতলের ফ্ল্যাটে। সেখানেই মহেশ প্রসাদ জয়সওয়াল নামে এক যুবকের সঙ্গে সহবাস করতেন তিনি।
ধৃত মহেশ প্রসাদ পুলিশকে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে শ্বেতার সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলছিল। প্রায় রোজই ২ সঙ্গীর মধ্যে কলহ লেগে থাকত। শনিবারও ২ জনের মধ্যে ব্যাপক মনোমালিন্য হয়। তার পর নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তরুণী। বেশ কিছুক্ষণ পরেও সাড়া না দেওয়ায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন যুবক। সেখানে তরুণীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে ভিআইপি রোডের পাশে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তরুণীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। চিকিৎসকরা শ্বেতাকে মৃত ঘোষণা করতেই হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন মহেশ প্রসাদ। তখন তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন হাসপাতালের আধিকারিকরা। পুলিশ এসে যুবককে গ্রেফতার করে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তরুণীর ঠোঁট ফেটে রক্ত বেরোচ্ছিল। রক্তের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে তরুণীর হাতেও। কী ভাবে তরুণীর মৃত্যু হল জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে তরুণীর ফ্ল্যাটেও পৌঁছেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।