Homosexuality: সমকামিতাকে অপরাধ বলে দাগিয়ে দেওয়া সামাজিক সমস্যা: প্রধান বিচারপতি

ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। সমকামিতা মানেই যেন অপরাধ এমনটাই বলা হত। তবে সাত দশক পরে তা থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এটা ছিল আমাদের সমাজের একটা অন্যতম অন্যায্যের দিক। এনিয়ে মতামত দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

মহারাষ্ট্র জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধান বিচারপতি। সেখানে তিনি এই সংক্রান্ত মন্তব্য করেন।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন,একটা গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরির জন্য সংবিধান দিশা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। তবে আমাদের অনেক কাজ করা বাকি থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতার সময় যে গভীর অসাম্য আমাদের সমাজকে একেবারে ভেঙে দিয়েছিল সেটা এখনও টিকে রয়েছে। এই অসাম্যকে দূর করার জন্য সংবিধানের মূল বিষয়গুলিকে সমাজের অন্দরে তুলে ধরতে হবে। সেটা আপনারা ছাত্ররাই তুলে ধরতে পারবেন।

এদিকে সোশ্য়াল মিডিয়ার অত্য়াধিক ব্যবহারের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। সোশ্য়াল মিডিয়ার নেতিবাচক দিকটির কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, মানুষ এখন একটি বিচ্ছিন্ন পৃথিবীর মধ্য়ে বাস করেন। তবে প্রযুক্তির মাধ্য়মে তাদের সঙ্গে অপরজনের যোগাযোগ থাকে। বাস্তবিকই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকা ভারতবাসীর প্রতি বিশেষ বার্তা দিলেন তিনি।

এই অনুষ্ঠানে বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় গঙ্গাপুরওয়ালা, সুনীল শুক্রে, অতুল চন্দুরকর, অনিল কিলোর, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শারদ বোদবে সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে সংবিধানের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। আইন পড়ুয়াদের তিনি নানাভাবে উৎসাহ দেন। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ন্যায় বিচার আর চ্যারিটির মধ্য়ে ফারাকটা বুঝতে হবে। চ্য়ারিটির মাধ্যমে আমরা অল্পক্ষণের মধ্য়ে কারোর যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে পারি। কিন্তু এটা করে আমরা তার ন্যায় বিচারের অধিকারকে কেড়ে নিলাম। সেকারণে আমাদের লড়াইটা ঠিক চ্যারিটির মতো নয়, এটা হল ন্যায় বিচারকে নিশ্চিত করার পথ।

সংবিধানের প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, এটা সংবিধানের সংক্ষিপ্ত অংশ কিন্তু এটির আলাদা ওজন রয়েছে। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন । সংবিধানের নানা দিক তুলে ধরেছেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি আইনের ছাত্রদেরও দিশা ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।