Rahul wanted to Leave Bharat Jodo Yatra: ৩ দিন হাঁটার পরই কংগ্রেসের যাত্রা ছেড়ে ‘প্যাভিলিয়নে’ ফিরতে চেয়েছিলেন রাহুল

গত মাসেই শেষ হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। দীর্ঘদিন ধরে পায়ে হেঁটে কন্যাকুমারী থেকে শুরু করে কাশ্মীরে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসকে পুনরায় জাতীয় রাজনৈতিক মানচিত্রে ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে যাত্রা শেষের প্রায় দুই সপ্তাহ পরে এবার এক গোপন কথা প্রকাশ করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল। তিনি জানালেন, হাঁটুর ব্যথার কারণে যাত্রা শুরুর তিনদিন পরই রাহুল গান্ধী বিরতি নিতে চেয়েছিলেন। রাহুল নাকি তাঁকে ডেকে পরামর্শও দেন যে, অন্য কোনও নেতার নেতৃত্বে পদযাত্রা চালিয়ে যাওয়া হোক।

যাত্রা শুরু হওয়ার পর ৩ দিন পরে তামিলনাড়ু থেকে রাহুলের যাত্রা কেরলে প্রবেশ করেছিল। সেই সময় তাঁর হাঁটুর ব্যথা মাত্রা ছাড়িয়েছিল। অন্য কোনও নেতার নেতৃত্বে পদযাত্রা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন রাহুল। বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও রাহুলের ব্যথার কথা জানতে পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তিনি পরামর্শ দেন, অন্য কোনও নেতা এই যাত্রার নেতৃত্ব দিতে পারেন। বেণুগোপালকে নাকি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ফোনও করেছিলেন। কেসি বেণুগোপাল সেই পরিস্থিতির বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘রাহুল ব্যথার কারণে যখন যাত্রা মাযপথে ছাড়ার কথা বলেন, তখন আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। রাহুল বাদে অন্য কারও নেতৃত্বে এই পদজযাত্রা কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’

বেণুগোপাল জানান, এই আবহে রাহুলের পরিচিত এক ফিজিওথেরাপিস্ট কংগ্রেসের পদাত্রা যুক্ত হন। তাঁর চিকিৎসাতেই ব্যথা থেকে মুক্তি পান রাহুল। এই আবহে দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর মনোবল ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞার প্রশংসা করেন বেণুগোপাল। প্রসঙ্গত, মোট ১৪৫ দিন ধরে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার হেঁটে এই যাত্রা কাশ্মীরে সম্পন্ন হয় গত ৩০ জানুয়ারি। যাত্রা শেষের বেশ কিছুদিন পর শেষ পর্যন্ত রাহুলের শারীরিক অবস্থার এই তথ্য প্রকাশ্যে আনল কংগ্রেস। এর আগে শীতকালে শুধুমাত্র একটি টি-শার্ট গায়ে চাপিয়ে রাহুলের পথ হাঁটা নিয়ে কংগ্রেস নেতারা অনেক চর্চা শুরু করেছিলেন।