পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের মামলার পলাতক আসামি বাবু আকনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পটুয়াখালীর তালতলী থানা পুলিশের সহযোগিতায় নিদ্রাসকিনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রবিবার রাতে মঠবাড়ীয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত বাবুকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার বাবু আকন মঠবাড়ীয়ার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের দেরোয়ার আকনের ছেলে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়ীয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর রাতে মঠবাড়ীয়া উপজেলার বকসির ঘটিচোরা গ্রামের নজরুল মাস্টারের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৯), উত্তর মিঠাখালী গ্রামের সোহরাব ফরাজীর ছেলে ইলিয়াস ফরাজী (২৭) ও একই গ্রামের জাকির হোসেন তালুকদারের ছেলে রাজু তালুকদারকে (১৮) গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধূ সন্তানসহ পৌর শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত বছরের ১৮ অক্টোবর বিকালে কেএম লতিফ সুপার মার্কেটে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে সন্তান ও বোনের মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশায় বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু অটোচালক গন্তব্যে না নামিয়ে আসামিদের যোগসাজশে মঠবাড়ীয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন জনৈক মামুনের বাড়ির সামনে গাড়ি থামান। পরে মামুনের বাসার বারান্দায় নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন আসামিরা। এ সময় ওই নারী চিৎকার দিলে সাউন্ড বক্সে গান বাজায় এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন আসামিরা। পরে ওই নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর মঠবাড়ীয়া থানায় সাত জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই নারী।
মঠবাড়ীয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘গ্রেফতার বাবুকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’