বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় শিক্ষার উন্নতির প্রকল্পে ডাহা ফেল করেছে কেরল, শোচনীয় ওড়িশা

দেবব্রত মোহান্তি

ওড়িশা সহ দেশের ৬ রাজ্যে বিশ্ব ব্য়াঙ্কের প্রকল্প রূপায়নের ক্ষেত্রে এবার পর্যালোচনা করা হল। সেখানে দেখা যাচ্ছে অন্তত তিনটি রাজ্য  টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে STARS প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। স্কুল শিক্ষা দফতরের আওতায় এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। স্কুলের পড়ুয়াদের মূল্যায়ণ, ক্লাসরুমে পরিকাঠামোকে উন্নয়ন করা সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই নিরিখে বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় টাকায় মোটামুটি ৩৭০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪-২৫ সাল পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে কথা রয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কেরল ও ওড়িশায় এই প্রকল্প চলছে।

৬- ১৭ বছর বয়সী ২৬০ মিলিয়ন পড়ুয়া এতে লাভবান হবে। ১০ মিলিয়ন শিক্ষকের এতে সুবিধা হবে।

এদিকে ভুবনেশ্বরে এনিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা ও কেরল এক চতুর্থাংশ টার্গেটও পূরণ করতে পারেনি। 

সব মিলিয়ে টার্গেট স্কোর ছিল ২২। সেজায়গায় কেরল পেয়েছে মাত্র ২। ওড়িশা ৮৬.৫এর মধ্য়ে পেয়েছে ১৯.৫। রাজস্থান ৩৯ এর মধ্যে পেয়েছে ১৪। 

এদিকে পাঁচ বছর ধরে চলবে এই কর্মসূচি। পাঁচটি উপাদান রয়েছে এই কর্মসূচির। শিশু শিক্ষাকে উন্নত করা। শিক্ষণ ব্যবস্থাকে মজবুত করা। ক্লাসের পরিকাঠামো বৃদ্ধি।শিক্ষকদের উন্নতি। ভোকেশনাল ট্রেনিং ও স্কুল প্রশাসনের মজবুতিকরণ। 

তবে হিমাচল প্রদেশ ও ওড়িশা শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা কাজ করেছে। লার্নিং অ্যাসেসমেন্ট সিস্টেমের ক্ষেত্রে কেউই প্রত্যাশিত জায়গায় যেতে পারেনি। কেরল একাধিক ক্ষেত্রেই শূন্য পেয়েছে।

এদিকে পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা সেকেন্ডারি পর্যায়ে ক্রমে বাড়ছে। ৯০ শতাংশ নাম উঠছে প্রাইমারিতে। আর হায়ার সেকেন্ডারিতে গিয়ে সেটাই দাঁড়াচ্ছে ৩৪ শতাংশ।শিক্ষক-ছাত্র শতাংশ সেকেন্ডারিতে থাকছে ১৮:১ আর হায়ার সেকেন্ডারিতে গিয়ে সেটাই হচ্ছে ২৬: ১। সেকেন্ডারি লেভেলেই দেখা যাচ্ছে খুব কম সংখ্যক ছাত্রী তাদের পড়াশোনার গন্ডি শেষ করছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup