Housing News: সরকারি আবাসনের ৩৮৪ ফ্ল্যাটের নিঃশর্তে দলিল দেবে রাজ্য

সাউথ সিটির উল্টোদিকে পোদ্দার পার্ক সরকারি আবাসন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ওই আবাসনের ১২ টি টাওয়ারের ৩৮৪টি ফ্ল্যাটের পুনর্নিমাণ করব কেএমডিএ। ওই আবাসনটি প্রায় ৬০ বছরের পুরনো। আবাসনের বিভিন্ন অংশ প্রায় ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্ল্যাটগুলির সারাই না করলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। তাই আবাসনটি পুনর্নিমাণ করে বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাটের দলিলও বাসিন্দাদের দিয়ে দেওয়া হবে। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ করেন বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিপজ্জনক ওই বাড়িগুলিতে আর বাসিন্দাদের থাকতে দিতে নারাজ তিনি। সরকারি খরচে তৈরি আবাসনগুলিতে নিঃশর্তে মালিকানা দেওয়া হবে।’

জানা গিয়েছে, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের অধীনে পোদ্দার পার্কে ১৯৫৫ সালে ১২টি টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই কাজ শেষ হয় ১৯৬০ সালে। নব্বয়ের দশকের শেষ দিকে এসে আবাসনের ফ্ল্যাটগুলি ক্রমশ জরাজীর্ণ হতে শুরু করে। কিন্তু তৎকালীন বাম সরকারকে বিষয়টি জানানো সত্ত্বে তারা কোনও গুরুত্ব দেয় নি। আবাসনের হাল জানিয়ে পোদ্দার পার্ক টেনেন্ট অ্যাসোশিয়েশন বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করলেও কোন সদর্থক উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। তৎকালীন স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সংগঠনটিকে নিয়ে আবাসন সারানোর দাবি নিয়ে লড়াই শুরু করেন। পোদ্দার পার্ক টেনেন্ট অ্যাসোশিয়েশন জানিয়েছে, রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বোরোর অফিসে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কেএমডিএ এই আবাসনটির পুনর্নিমাণের কাজ করবে। কিন্তু তার পর পাঁচ বছর কেটে গেলেও কাজ শুরু হয়নি।

দেবাশিস কুমার বিধায়ক হওয়ার পর আবার তিনি এই আবাসনটি পুনর্নিমাণ নিয়ে সক্রিয় হন। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলার মৌসুমী দাসকে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফের বিষয়টি ওঠে। সিদ্ধান্ত হয় বাসিন্দাদের পুনর্নিমিত ফ্ল্যাটের নিঃশর্ত দলিল দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন দ্রুত কাজ শুরু করার। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত খুশি পোদ্দার পার্ক টেনেন্ট অ্যাসোশিয়েশন।