Tripura Polls: রাত পোহালেই ভোট, ত্রিমুখী লড়াইয়ের মুখে ত্রিপুরা

প্রিয়াঙ্কা দেব বর্মন

রাত পোহালেই ভোট ত্রিপুরায়। ভোট প্রক্রিয়াকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে যাবতীয় ব্যবস্থা রেখেছে নির্বাচন কমিশন। ৬০ আসনে এবার ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে মনে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। বিজেপি ও তার সহযোগী আইপিএফটির সঙ্গে বাম কংগ্রেসের জোর টক্কর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তিপরা মোথাকে ঘিরে ভাবাবেগ।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ৩৩৩৭টি বুথে ভোট হবে। তার মধ্যে ১১০০ সংবেদনশীল ও ২৮টি ক্রিটিকাল বুথ রয়েছে। ২৮.১৩ লাখ ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩.৯৮ লাখ মহিলা ও ১৪.১৪ লাখ পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৭৭জন ভোটার।

বিজেপি ৫৫টি আসনে লড়ছে। তার সহযোগী প্রার্থী দিয়েছে ৬টি আসনে। এদিকে এবার বাম কংগ্রেসের মধ্যে আসন বোঝাপড়া হয়েছে ত্রিপুরায়। বামেরা এবার ৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। বাকি আসনে বাম শরিকরা প্রার্থী দিয়েছেন।

এদিকে রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা এখন তিপরা মোথার প্রধান। সেই দল ৪২টি আসনে এককভাবে প্রার্থী দিয়েছে। তবে প্রদ্যোৎ কিশোর নিজে অবশ্য় এবার ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

এদিকে তিপরা মোথাকে পাশে পেতে এবার মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি চেষ্টার কোনও ত্রুটি করেনি। তবে শেষ পর্যন্ত তিপরা মোথা অবশ্য এককভাবেই লড়ছে। তবে ওই দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বৃহত্তর তিপরাল্যান্ডের সাংবিধানিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য কোনও দলের সঙ্গে সমঝোতা করবে না।

এদিকে এবার ত্রিপুরায় ভোটযুদ্ধে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ২ মার্চ ভোট গণনা করা হবে।

নজরকাড়া আসন:

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা টাউন বরদোয়ালি আসন থেকে লড়তে নেমেছেন। কংগ্রেসের আশিস কুমার সাহার বিরুদ্ধে তিনি ভোটে লড়তে নেমেছিলেন। কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন আগরতলা আসনে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির পাপিয়া দত্ত। ধনপুর আসন থেকে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি এমপি প্রতিমা ভৌমিক। এই আসনটি বাম জমানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের খাসতালুক।

সব মিলিয়ে ২৫০টি নাকা চেকিং করা হচ্ছে এলাকায়। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় কড়া সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসম, মিজোরাম সীমান্ত এলাকাতেও কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী থাকছে। নরেন্দ্র মোদী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার প্রচারে গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। মোদী জানিয়েছিলেন ডবল ইঞ্জিনের কথা মমত জানিয়েছিলেন বেঙ্গল মডেলের কথা। তারই লড়াইয়ের জন্য আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা।