শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ও আধ্য়াত্মিকতার একযোগে চলা দরকার: রাষ্ট্রপতি

ইন্টারন্যাশানাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ফেয়ারে বক্তব্য রাখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দিল্লির প্রগতি ময়দানে ২৫ তম এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস যদি বিজ্ঞানের জ্ঞান আর আধ্য়াত্মবাদের মধ্য়ে সমণ্বয় সাধন করা হয় তবে এতে মিরাকেল হতে পারে। 

কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি এই মেলার আয়োজন করেছে। সামাজিক পরিবর্তনের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা দরকার। জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, কোনও প্রযুক্তি যখন কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্টি অংশের মানুষের মধ্য়ে সীমাবদ্ধ থাকে তখন তা ধীরে ধীরে গুরুত্বহীন হয়ে যায়। আর যে প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের জীবনের মানকে বদলে দেয় , ইতিবাচক দিকে এগিয়ে দেয় তা জনপ্রিয়তা পায়।

ভারতের ম্যানুফ্য়াকচারিং সেক্টরেরও প্রশংসা করেন তিনি। প্রতিরক্ষা, এয়ারোস্পেস, মোবাইল ফোন তৈরি, ভারত ক্রমেই সকলের প্রিয় গন্তব্য় হয়ে উঠছে। ভারত একেবারে আন্তর্জাতিক মানের ম্যানুফ্য়াকচারিং ইউনিট তৈরির লক্ষ্য়ে এগোচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই বিশ্বকে বসবাসের ক্ষেত্রে একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী করে তোলা দরকার। তিনি জানিয়েছেন সাম্প্রতিক অতীতে সরকারের নানা  পলিসি  জীবনকে পরিবর্তন ও সমৃদ্ধশালী করতে সহায়ক হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বছর ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানুফ্য়াকচারিং সেক্টরে ভারতের সমৃদ্ধের কাহিনিকে উদযাপনের জন্য়ই কেবলমাত্র এই ইভেন্ট নয়। বিশ্বের অ্যাডভান্সড টেকনোলজির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এটা ভারতের ক্ষেত্রেও একটি বড় পরীক্ষা।

তবে এদিন তিনি তাৎপর্যপূর্ণভাবে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধ্য়াত্মিকতা ও বিজ্ঞানের একযোগে কাজ করা উচিত। আর সেটা হলে কী হতে পারে সেটাও উল্লেখ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন আমার বিশ্বাস যদি বিজ্ঞানের জ্ঞান আর আধ্য়াত্মবাদের মধ্য়ে সমণ্বয় সাধন করা হয় তবে এতে মিরাকেল হতে পারে। খোদ রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন একথা। বিজ্ঞান ও আধ্য়াত্মিকতার মধ্যে সমণ্বয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। অত্যন্ত গভীর তত্ত্বকে উপস্থাপিত করেছেন তিনি। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup