উপেনবাবুর প্ল্যান সফল, আদালত চত্বরে দাবি ‘সৎ রঞ্জনের’, কী বললেন উপেন বিশ্বাস?

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে। দাবি করা হচ্ছে এই চন্দন মণ্ডলের কথাই ফেসবুকে উল্লেখ করেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। এবার সেই চন্দনকেই গ্রেফতার করল সিবিআই। তার কাছে একাধিক নথি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তিনি অসহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বাগদার রঞ্জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

তবে এদিন আদালতের বাইরে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে কার্যত ফুঁসে ওঠেন রঞ্জন। তিনি এদিন বলেন, আমি কিছু বলব না। উপেনবাবুর প্ল্যান সাকসেসফুল। আদালত থেকে লক আপে ঢোকার সময় এটাই ছিল রঞ্জনের কথা।

তবে রঞ্জনকে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতিতে আর কারা জড়িত, কাদের কাছে টাকা দেওয়া হত, কলকাতায় কাদের কাছে যেত টাকার ব্যাগ এসবই জানতে চাইবে সিবিআই। সূত্রের খবর এমনটাই।

সূত্রের খবর, ফেসবুকে সৎ রঞ্জনের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাস। সেই রঞ্জনই এখন সিবিআইয়ের জালে। এবার সেই রঞ্জন ঠিক কোন তথ্য সিবিআইকে দেয় সেটাই দেখার। এদিন অন্তত ৬জন এজেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরও জেরা করা হবে।

তবে এদিন রঞ্জনের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, চন্দন বার বারই তদন্তে সহযোগিতা করেছে। যখনই ডেকেছে তখনই গিয়েছেন। কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি। ব্য়াঙ্ক স্টেটমেন্টও দিয়েছে। তবে ওনাকে বলা হয়েছে, যে চাকরি দিত তার সঙ্গে নাকি যোগাযোগ করিয়ে দিত। কিন্তু তেমন কোনও ঘটনাই হয়নি। বাগদার একটি গ্রামে থাকেন। শুধু একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তার ব্য়ক্তিগত রাগের জন্য এই সৎ চন্দন নামে কোনও একটা সময়ে বলেছিলেন। তিনি অভিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু আমরা জানতাম না একজন প্রভাবশালী ব্য়ক্তি এভাবে তিনি যদি মনে করেন তবে তার বিরুদ্ধে এভাবে পদক্ষেপ নিতে পারেন।

২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার অ্যাকাউন্টে টাকা আসত বলে দাবি করা হচ্ছে। তিনি এই নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের মাস্টার মাইন্ড বলেও দাবি করা হচ্ছে। এদিন নিজাম প্যালেসে ডেকে তাকে জেরা করা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি বার বার অসহযোগিতা করছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

চন্দনের গ্রেফতারি নিয়ে উপেন বিশ্বাস বলেন, এই অপরাধটি একেবারে কর্পোরেট চরিত্রের। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে আবার ফিল্মেও টাকা ঢেলেছে। আমাকে যখন পার্টি করা হয় তখন সেই লোকটি বলছে আমায় সে দেখেনি। আমিও লোকটিকে দেখিনি। আমায় অন্য একজন তার কথা বলেছিল। একজন এক্স সার্ভিসম্যান আমায় বলেছিলেন ওই রঞ্জনের কথা। পরে শুনেছিলাম সে নাকি চাকরি দেয়। চাকরির দিতে না পারলে নেওয়া টাকার সুদও দেয়।