জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের সকলের ফাঁসি হোক। এমনই দাবি তুললেন বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যরা। যাঁরা কৃষ্ণগিরি-সহ তামিলনাড়ুর বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান। ওই কৃষ্ণগিরি জেলার পোচামপল্লিতেই এক জওয়ানকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসক দল ডিএমকের নেতা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে কর্মরত ছিলেন পোচামপল্লির ভেলামপাত্তি গ্রামের বাসিন্দা এম প্রভু। কৃষ্ণগিরি জেলার বিজেপির এক্স-সার্ভিসম্যান শাখার সভাপতি রামা নন্দগোপাল জানান, ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন প্রভু। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েতের জলের ট্যাঙ্কের কাছে কাপড় কাচা নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রভু ও তাঁর দাদা প্রভাকরণের (ভারতীয় সেনায় কর্মরত) সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় ডিএমকে নেতা চিন্নস্বামীর।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেদিন (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রভু এবং তাঁর দাদার উপর চিন্নস্বামী এবং তার অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, প্রভুদের বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে প্রভুকে হোসুরের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে ভরতি আছেন প্রভুর দাদা।
কৃষ্ণগিরি জেলার বিজেপির এক্স-সার্ভিসম্যান শাখার সভাপতি নন্দগোপাল দাবি করেছেন, প্রাথমিকভাবে হামলার পর বাবার কাছে চলে আসেন প্রভু এবং তাঁর দাদা। তাঁদের ঘিরে ধরেছিল ১০ জন সশস্ত্র লোক। প্রভুদের এলোপাথাড়ি ঘুষি মারতে থাকে তারা। হাতে অস্ত্র না থাকলেও কোনওক্রমে বাঁচার চেষ্টা করেন প্রভুরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরিবারের মহিলারা তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করেন।
ওই ঘটনা নিয়ে কৃষ্ণগিরির পুলিশ সুপার সরোজকুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, যে ন’জন জড়িত ছিল, তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ‘ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই। মৃত জওয়ানের পরিবারকে সবরকমের সাহায্য করবে পুলিশ। থিরু প্রভু ও তাঁর পরিবার যাতে সুবিচার পায়, তা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পুলিশ।’
জওয়ানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। ভারতীয় বায়ুসেনার জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার (অবসরপ্রাপ্ত) ইশাইবনন এম বলেন, ‘দেশের এরকম কোথাও এরকম কখনও ঘটনা ঘটেনি। দেশের সর্বত্র একজন জওয়ানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করা হয় এবং তামিলনাড়ুতে এভাবে (একজন জওয়ানকে) হত্যা করা হল।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)