P Chidambaram:’আমি সহমত নই তাঁর…’ সোরোসের মন্তব্যে চিদাম্বরমের ঝোড়ো টুইট, কী বললেন কংগ্রেস নেতা?

আদানি ইস্যুতে মার্কিন কোটিপতি বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের এক মন্তব্য ঘিরে কার্যত তোলপাড় ভারতের রাজনীতি। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে সোরোসের মন্তব্যকে ঘিরে সমস্ত ভারতীয়দের একজোট হয়ে ‘মোকাবিলা’ করার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসও বিষয়টি নিয়ে পিছিয়ে নেই। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের তরফে মুখ খুললেন পি চিদাম্বরম। সোরোসের মন্তব্য নিয়ে চিদাম্বরম তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

জর্জ সোরোসের মন্তব্যে উঠে আসে, আদানি-অধ্যায়ের পরে ভারতে ‘গণতান্ত্রিক উত্থান’ সম্ভব হবে, বলে। কংগ্রেস সাংসদ পি চিদাম্বরম তার প্রেক্ষিতে এক টুইটে লেখেন, ‘জর্জ সোরোসের আগে বলা বেশিরভাগ কথার সঙ্গে আমি সহমত নই আর এখন তিনি যা বলছেন, তা নিয়েও আমি সহমত নই। তবে তাঁর মন্তব্যকে এমন একটা তকমা দেওয়া যে,’তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা’কে আমি শিশুসুলভ মনে করি।’ আরও এক টুইটে চিদাম্বরম বলেছেন,’ভারতের মানুষ ঠিক করবেন, ভারতের সরকারে কে থাকবেন, আর কে থাকবেন না।’ চিদাম্বরম লেখেন, ‘আমি জানতাম না যে মোদী সরকার এতটাই দুর্বল যে এক ৯২ বছর বয়সী বিদেশী কোটিপতির বিবৃতিতে সেই সরকার পড়ে যেতে পারে।’ চিদাম্বরম বলছেন, ‘জর্জ সোরোসকে ভুলে যান’, তিনি বলছেন, সদ্য নউরিয়েল নৌবানি যে কথা বলেছেন, তা বেশ সতর্কমূলক। রৌবানির সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, ভারত এমন এক দিকে যাচ্ছে যা ‘ক্রমবর্ধমান বৃহৎ প্রাইভেট গোষ্ঠী দ্বারা চালিত হতে পারে, যা সম্ভাব্য প্রতিযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং বাজারে নতুন প্রবেশকারীদের হত্যা করতে পারে।’ (স্বরা-ফাহাদের বিয়েতে চর্চায় ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’! কী এই বিধি? নিয়ম একনজরে)

উল্লেখ্য, সদ্য মার্কিন কোটিপতি জর্জ সোরোসের যে মন্তব্য উঠে আসে, তাতে বলা হয়েছে, আদানিকে ঘিরে যে সদ্য হিন্জেনবার্গ রিসার্চের তরফে তথ্য উঠে এসেছে, তা সরকারের ওপর থেকে মোদী শিবিরের জোর কমিয়ে দিতে পারে। এরপরই বিজেপি তার জোরালো জবাব দেয়। বিজেপির দাবি, এমন মন্তব্যের দ্বারা ভারতের গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।