তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বাগদায় ৯৫ শতাংশ চাকরি হয়েছে চন্দনকে টাকা দিয়ে: দুলাল বর

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাগদার ৯৫ শতাংশ সরকারি চাকরি হয়েছে চন্দন মণ্ডলের মাধ্যমে টাকা দিয়ে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর। আর চন্দনের গ্রেফতারির পরই বাগদার পাড়ায় পাড়ায় গুঞ্জন, ‘চাকরি চলে যাবে না তো?’

বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দনের বাড়িতে এক সময় চাকরির জন্য টাকা জমা দিতে লোকের লাইন পড়ে যেত। সিবিআই জানিয়েছে, চাকরি দেওয়ার জন্য অন্তত ৩০০ লোকের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাদের অনেককে চাকরিও দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে বোমা ফাটালেন দুলাল বর। তাঁর দাবি, বাগদা ব্লকের ৯৫ শতাংশ চাকরিই হয়েছে চন্দনের মাধ্যমে।

শুক্রবার চন্দনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। হেফাজতে নিয়ে সারা রাত তাঁকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রাথমিকে চাকরির জন্য ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে নিতেন চন্দন। উচ্চ প্রাথমিকের জন্য নিতেন ২০ – ২২ লক্ষ। চন্দনের নাম প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন উপেন বিশ্বাস।

তবে কি চন্দনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন উপেন বিশ্বাস? জবাবে দুলাল বর বলেন, কোথায় নেতাজি আর কোথায় পেঁয়াজি। উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন মন্ত্রী। সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ছিলেন। আর চন্দন একটা মামুলি প্যারা টিচার। উপেন বিশ্বাসের আর কোনও কাজ নেই যে ওকে ফাঁসাতে যাবেন। নিজের কর্মের জন্যই গ্রেফতার হয়েছে চন্দন।

দুলাল বরের দাবি, প্রাথমিকে ১০ লক্ষ, উচ্চ প্রাথমিকে ১২ লক্ষ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ১৪ লক্ষ টাকা রেট ছিল চন্দনের। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার পর কারও যদি চাকরি চলে যায়, তাহলে যাকে টাকা দিয়েছেন তার বাড়িতে চড়াও হন।