2600 horses have their passport: পাসপোর্ট দেওয়া হল দেশের ২৬০০ ঘোড়াকে, কেন এমন সিদ্ধান্ত?

বিদেশ ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই, এমন লোক খুঁজে পাওয়া শক্ত। তবে এর জন্য ঝক্কিও কম পোয়াতে হয় না। পাসপোর্ট থেকে ভিসা কত কীই না করাতে হয়! তার উপর খরচাপাতিরও একটা ব্যাপার আছে! তবে সবাই একে তেমন ঝক্কি হিসেবে নেন না। বেশ আরামসেই পুরোটা মিটিয়ে ফেলেন। সেইভাবেই তো ভারতের ২৬০০ ঘোড়ার পাসপোর্ট হয়ে গেল। ভুল পড়ছেন ভাববেন না। শুধু বাইরে পাঠানোর জন্য এই ২৬০০ মাড়োয়াড়ি ঘোড়ার পাসপোর্ট করানো হয়েছে তা নয়, বরং তাদের পুরো শারীরিক গঠনের খুঁটিনাটি রয়েছে তাদের পাসপোটে।

রাজস্থানের আসল ঘোড়ার জাত হল মাড়োয়াড়ি জাত‌। মজবুত খুরের কারণে যেগুলি খুব কম সময়ে অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। প্রচন্ড গরম ও শীতেও‌ এরা অনায়াসে থাকতে পারে। এছাড়াও যেকোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে মাড়োয়াড়ি ঘোড়া। শরীরের সুঠাম গঠন ও গতির জন্য ঘোড়ার বিভিন্ন জাতের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এই জাত।

কীভাবে শুরু হল এগুলির পাসপোর্ট করানোর পদ্ধতি? সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মাড়োয়াড়ি ঘোড়ার প্রথম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৩ সালে। মাড়োয়াড়ি হর্স স্টাড বুক রেজিস্ট্রেশন সোসইটি অফ ইন্ডিয়াতে নথিভুক্ত করা হত ঘোড়াগুলিকে। এঈ সংস্থার পশুমালিকদের উৎসাহেই শুরু হয় আরও ভালো করে নথিভুক্তকরণের পদ্ধতি। সারা ভারত থেকে বাছাই করা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হয় পশু বিশেষজ্ঞ প্যানেল। ঘোড়াগুলিকে রেজিস্ট্রেশন আইডেন্টিফিকেশন সার্টিফিকেট দিতেই এই উদ্যোগের শুরু।

অল ইন্ডিয়া মাড়োয়াড়ি হর্স সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল জঙজিৎ সিং নাথাওয়াত জানান, নথিভুক্তিকরণের এই উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে গত ১০ বছরে মোট ৩০০০ মাড়োয়াড়ি ঘোড়াকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০০ ঘোড়ার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

কীভাবে চলে এই নথিভুক্তি? মারোয়াড়ি হর্স সোসাইটির বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রতিটি ঘোড়াকে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। তাদের গতি ও অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করা হয়। তারপরই ঠিক করা হয় সেটা মারোয়াড়ি ঘোড়ার দলে পড়বে কিনা। সবকটি শর্ত ঠিকমতো পূরণ না হলে ঘোড়াটিকে মারোয়াড়ি ঘোড়া হিসেবে নথিভুক্ত করা হয় না। এভাবেই চলে বাছাই ও নথিভুক্তির প্রক্রিয়া।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup