Assam woman ‘cuts’ husband’s body: স্বামী-শাশুড়িকে ‘খুন’ অসমের মহিলার, ‘দেহ কেটে ফ্রিজে রাখার পর ফেলে দেয়’ মেঘালয়ে

উৎপল পরাসর

স্বামী ও শাশুড়িকে খুনের অভিযোগে অসমের গুয়াহাটির এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেইসঙ্গে ওই মহিলার বয়ফ্রেন্ড এবং এক সহযোগীকে পাকড়াও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত বছর অগস্টে স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে ওই মহিলা। তাঁদের দেহ কেটে তিনদিন ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। তারপর মেঘালয়ে সেই দেহাংশ ফেলেছিল মহিলা এবং তার সহযোগীরা।

সূত্রের খবর, বয়ফ্রেন্ড ধনজিৎ ডেকা এবং তার বন্ধু অরূপ দাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বন্দনা কলিতা নামে ওই মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খুনের পর অমরজ্যোতি এবং শঙ্করীর দেহের ছোটো-ছোটো টুকরো করে বন্দনা, ধনজিৎ এবং অরূপ। সেই দেহাংশ তিনদিন ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর গাড়িতে করে পার্শ্বর্বর্তী রাজ্য মেঘালয়ের দুটি জায়গায় দেহাংশ ফেলে দেয় বন্দনারা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মেঘালয় থেকে শঙ্করীর দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। তিন অভিযুক্তের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অমরজ্যোতি দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে পুরো বিষয়টি এবং তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশের শীর্ষকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে আজ বিকেলের দিকে গুয়াহাটিতে সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার। সেখানেই বিস্তারিত তথ্য, খুনের উদ্দেশ্য জানাতে পারে পুলিশ।

কীভাবে পুরো বিষয়টি সামনে এল? পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর অগস্টে বন্দনা অসমের নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বন্দনা। সে দাবি করে যে স্বামী এবং শাশুড়ির খোঁজ মিলছে না। তারপর ফের একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে বন্দনা দাবি করে, শাশুড়ির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। কেউ টাকা তুলে নিচ্ছে শঙ্করীর অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই অভিযোগের পর শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বন্দনাকে পাকড়াও করে পুলিশ। 

সূত্রের খবর, বন্দনার দ্বিতীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে যে শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেই টাকা তুলেছিল ওই মহিলা। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা তুলেছে বন্দনা। তারপরই বন্দনাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দনা স্বীকার করে, স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করেছে সে। ঘটনায় বন্দনার বয়ফ্রেন্ড এবং তার বন্ধু অরূপের নাম উঠে আসে। তারপর রবিবার বন্দনা, ধনজিৎ এবং অরূপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)