SC gender and religion neutral laws: ডিভোর্স, বিয়ের বয়স নিয়ে ‘ধর্ম নিরপেক্ষ’ আইনের দাবিতে আবেদন, ৪ সপ্তাহ পর শুনবে SC

বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ের বয়স, রক্ষণাবেক্ষণ, ভরণপোষণ সহ বৈবাহিক সম্পর্কের একাধিক ক্ষেত্রে লিঙ্গ ও ধর্ম নিরপেক্ষ আইন তৈরি করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ শুনানি হল সর্বোচ্চ আদালতে। আজকের শুনানির পর এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলাগুলিকে আগামী চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দিল শীর্ষ আদালত। এদিন মামলাকারীর হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট গোপাল শংকরনারায়ণান। তিনি নিজের মক্কেলদের স্বপক্ষে এদিন আদালতে একটি চার্ট পেশ করেছিলেন। তবে এই মামলার শুনানির বিরোধিতা করেন সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল। (আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে পাঠানো বন্যাত্রাণই সেদেশে পাঠিয়ে নিজের নাক কাটাল পাকিস্তান)

এদিন কপিল সিব্বল এই জনস্বার্থ মামলাগুলির শুনানির বিরোধিতা করে বলেন, ‘এই ধরনের আবেদন কীভাবে শুনবে সর্বোচ্চ আদালত? এটা তো সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। আমার এই কারণেই এই আবেদনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক কিছু বিরোধিতা রয়েছে।’ এর জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী শংকরনারায়ণান বলেন, ‘সেরকমই যদি হয়, তাহলে আদালত আবেদনগুলি শুনুক তারপর খারিজ করে দিক।’ এরপর বেঞ্চের বিচারপতিরা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। এরপর বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘আমরা কেন এই আবেদন শুনব?’ জবাবে শংকরনারায়ণান বলেন, ‘এই আবেদনগুলিতে অনেক কিছু রয়েছে… আইন কমিশনকে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ এরপর মামলার বিরোধিতা করা সিব্বল ফের বলেন, ‘তাহলে আদালত কেন এই আবেদনগুলি শুনবে?’

এরপর মামলাকারী আইনজীবী বলেন, ‘এটা বিশেষ ভাবে লিঙ্গ নিরপেক্ষতার বিষয়। আমি যেই মুসলিম মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করছি, তাঁরা চান যে ব্যক্তিগত আইন যাতে লিঙ্গ নিরপেক্ষ হয়।’ এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা তো বিচার ব্যবস্থার দেখার বিষয় নয়। এটা সরকারের দেখার বিষয়। সরকারকে এই বিষয়ে বিবেচনা করে আইন আনতে হবে।’ এরপর মামলাকারী আইনজীবী বলেন, ‘বিষয়গুলিকে এক এক করে উত্থাপিত না করে লিঙ্গ ও ধর্ম নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে একসঙ্গে সেগুলির শুনানি করা যেতে পারে।’ এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখানে আসল প্রশ্ন হল যে আদালত কত দূর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে।’ পরে চার সপ্তাহ পরে মামলাটিকে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।