আন্দোলনের নাম ভাঙচুর করলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে মমতার সরকার, পাশ হল আইন

আন্দোলনের নামে সরকারি বা বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করলে বাজেয়াপ্ত হবে অভিযুক্তের সম্পত্তি। বিধানসভায় এমনই আইন পাশ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই আইন দমনমূলক বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, পুলিশকে লেলিয়েও যখন আন্দোলন থামানো যাচ্ছে না তখন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ বন্ধ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এতদিন কোনও ব্যক্তি কোনও সম্পত্তির ক্ষতি করলে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা ছিল। এবার সরাসরি তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে সরকার। মঙ্গলবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেন্টেনেন্স অফ পাবলিক অর্ডার অ্যামেন্ডমেন্ট বিল পাশ করে এমনই ব্যবস্থা করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কোথাও সম্পত্তির ক্ষতি হলে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাবে সরকার। ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে পুলিশ। তার পর আদালত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ১৮০ দিনের মধ্যে পুলিশ রিপোর্ট জমা দিতে না পারলে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি ফেরত পেয়ে যাবে অভিযুক্ত।

সম্প্রতি রাজ্যে একাধিকবার সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ২০১৯ সালে সংসদে CAA পাশের পর রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় একের পর এক স্টেশনে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ট্রেন। গত বছর বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে রাজপথে তাণ্ডব চালায় একদল ধর্ন্মোন্মাদ। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বহু দোকান। এমনকী ডোমজুড় থানায় ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা।

গত লক্ষ্মীপুজোর রাতে কলকাতার মোমিনপুরে হিংসা ছড়ায়। তাতে বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করা হয়। CAA পাশের পর রাজ্যে হিংসা রুখতে একই রকম আইন পাশ করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, সেই আইনের সঙ্গে এই আইনের আকাশ পাতাল ফারাক।