বঙ্গভঙ্গ হবে না, বনধ হবে না, কাউকে রেয়াত নয়, পাহাড় অচল নিয়ে হুঁশিয়ারি মমতার

পাহাড়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বনধের ডাক দিয়েছে হামরো পার্টি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বনধের রাস্তায় মোর্চা। মাধ্যমিক পরীক্ষা যেদিন শুরু হচ্ছে সেদিনই পাহাড়ে বনধের ডাক মোর্চার। এবার সেই বনধের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সভা থেকে কড়া হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত এর আগেও পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের ডাকা টানা বনধের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন মমতা। ফের এদিন সেই চেনা মেজাজে দেখা গেল মমতাকে।

এদিন মমতা বলেন, বনধ হতে দেব না। শিল্প হবে, পর্যটন হবে, উন্নয়ন বাড়বে, বাস চলবে, গাড়ি চলবে সবকিছু চলবে। তবেই তো বাংলা এগিয়ে যাবে। কেউ যদি মনে করে আমার পলিটিকাল প্রোগ্রাম, পাঁচ বছরে একবার বনধ করে দেখাই আমার ক্ষমতা, তবে পরিষ্কার বলে যাচ্ছি কোনও বনধ, টনধ হবে না। বনধ করলে আমরা বনধ সমর্থন করব না। কেউ রাস্তায় বসে পড়ল, আর পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারল না তার দায় কে নেবে। আমি শুনেছি পাহাড়ে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ জাগে, উন্নয়নের জন্য জাগে না। কী করে বন্ধ করা যায়, কী করে অশান্তি করা যায়! আমি পরিষ্কার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, ২৩ তারিখ  পরীক্ষা শুরু হচ্ছে যদি কেউ আন্দোলন করতে চান, আইন মেনে চলতে হবে। আইন মেনে চলতে হবে। আন্দোলনের অধিকার সবার আছে। কেউ যদি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চান তবে  সরকার রেয়াত করবে না। তা সে যেই হোক। পরিষ্কার বলে দিচ্ছি বনধ সমর্থন করি না। এটা আমাদের পলিসি। গত ১১ বছরে এটা করে দেখিয়ে দিয়েছি।  

মমতা বলেন, মনে রাখবেন বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। সব ভাষাভাষিদের একটাই অধিকার। বৈচিত্রের মধ্য়ে ঐক্য তৈরি হয়।

পাহাড়ের বনধকে ঘিরে এবার একেবারে কড়া হুঁশিয়ারি মমতার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগেও পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমি রাফ অ্যান্ড টাফও হতে পারি। বিমল গুরুংয়ের সামনে দাঁড়িয়েই সেদিন মমতার রুদ্র রূপ দেখেছিলেন পাহাড়বাসী। এবার ফের শিলিগুড়ির মাটিতে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের বনধের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া অবস্থান ঘোষণা করে দিলেন মমতা। 

সেক্ষেত্রে মমতার নির্দেশকে অমান্য করে ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধ কতটা সফল করতে পারবে মোর্চা ও হামরো পার্টি তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে। 

অশান্তি করতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। যারা বঙ্গভঙ্গ করতে যাবে তাদের মোহভঙ্গ হবে। কড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।