মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্য়চিত্র, মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী, ‘পুরো রাজনীতি….’

আরিয়ান প্রকাশ

কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্য়চিত্র নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, কোনও ইউরোপিয়ান দেশে কেউ বক্তব্য রেখেছেন, তথ্যচিত্র বানিয়েছেন এনিয়ে আমরা আলোচনা করছি না। আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলছি। একটা কথা রয়েছে যুদ্ধ সেটা যেন অন্যভাবে। আর এখানে রাজনীতি সেটা একটু অন্যভাবে।

আপনারা বলছেন সত্যের খোঁজ করেছেন। আপনি কি মনে করছেন টাইমিংয়ের ব্যাপারটাও একেবারে অ্যাক্সিডেন্টাল। আপনারা কি জানতেন না ভারতে ভোটের মরসুম শুরু হচ্ছে। বলেন বিদেশমন্ত্রী। 

এদিকে বিবিসি তাদের তথ্যচিত্রে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার কথা উল্লেখ করেছে। যখন মোদী ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তথ্যচিত্রের নাম ইন্ডিয়া, দ্য় মোদী কোয়েশ্চেন। ইউটিউব ও টুইটার থেকেও এই তথ্যচিত্রটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। এটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি তথ্য়চিত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রশ্ন করা হয়েছিল, তবে কি মোদীর উত্থানকে সহ্য করতে পারে না পাশ্চাত্যের কিছু অংশ? এনিয়ে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপনার কি এতে সন্দেহ রয়েছে? এটা হচ্ছে অনেকটা সেই পাথরের উপর ফোঁটা ফোঁটা ফোঁটা করে জল ফেলার মতো।

বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, আসলে বাইরে একটা ইকো চেম্বার রয়েছে। এটা একটা বিশ্ব পৃথিবী। যেখানে মানুষ বিদেশেও রাজনীতিকে টেনে নিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে ভারতের যে রাজনীতি সেটা সীমান্তের মধ্যে থেকে আসে না। এগুলো বিদেশ থেকে আসে। অনেক আইডিয়া, অ্য়াজেন্ডা সব বিদেশ থেকে আমদানি হয়। আচমকা ভারত সম্পর্কে এই রিপোর্ট করার কি যুক্তি ছিল? 

দিল্লিতে ১৯৮৪ সালে অনেক ঘটনা হয়েছিল। সেটা নিয়ে আমরা তথ্যচিত্র দেখি না কেন?  যদি আপনি মানবিক হন তবে যেখানে যেখানে অন্যায় হয়েছিল সবটাই তো আপনি দেখবেন। আসলে এটা হচছে যারা রাজনীতির মূল রাস্তায় আসেন না তারাও রাজনীতি করতে চায়। এটা হচ্ছে তারই নজির। বলেন বিদেশমন্ত্রী।

এদিকে বিবিসির এই তথ্য়চিত্রকে ঘিরে ইতিমধ্যে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে। বিভিন্ন সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্ম থেকে এই তথ্য়চিত্রকে তুলে নেওয়ার জন্য় পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কার্যত রাজনীতি করার জন্য়ই এই কাজ করা হয়েছিল সেব্যাপারেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup