Cured of AIDS and Cancer: চিকিৎসা বিজ্ঞানের দুর্ধর্ষ সাফল্য! ক্যানসার, এডস দুটোই সেরে গেল, কোন চিকিৎসায়

২০১৮ সালে এইচআইভির চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। চার বছর পর শরীরে সেই ভাইরাসের আর চিহ্নই পাওয়া গেল না। এই রোগীকে নিয়ে সারা বিশ্বে মোট তিনজন এইচআইভি থেকে সেরে উঠলেন! বিজ্ঞানের জগতে যা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। এইচাইভি থেকে বিষ্ময়করভাবে সেরে ওঠা অবশ্য এমনি এমনি হয়নি। নেপথ্যে ছিল একটি বিশেষ জিনের কারিকুরি। রক্তের ক্যানসারের জন্য স্টেম সেল থেরাপি করাতে গিয়ে সেই জিনের হদিশ মেলে। কীভাবে ঘটল পুরো ঘটনাটি? জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০০৮ সালের গোড়ায়।

জার্মানির ডুসেলডর্ফের এই রোগী ২০০৮ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত হন। এরপর থেকেই নিয়মিত অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এইচআইভি প্রতিরোধী চিকিৎসা) নিতে হত তাঁকে। বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে তাঁর অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকোমিয়া ধরা পড়ে। রক্তের ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ক্যানসার এটি। ২০১৩ সাল থেকেই ওই ব্যক্তি হাড়ের মজ্জা প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা (বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট) শুরু করান। এই সূত্রেই ব্যক্তির সঙ্গে এক মহিলা দাতার পরিচয় হয়।‌ দেখা যায় তাঁর স্টেম সেলেই সিসিআর৫ জিনের মিউটেশন হয়েছে। এই জিনের মিউটেশন এইচআইভি ভাইরাসকে কোষের মধ্যে ঢুকতে বাধা দেয়। ২০১৮ সাল থেকে রোগী অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি নেওয়া বন্ধ করে দেন। ২০২২-এর শেষে দেখা যায়, কোনও ভাইরাসের চিহ্নই নেই শরীরে!

স্টেম সেল থেরাপি করতে গিয়ে এভাবেই এইচআইভি থেকে সেরে ওঠেন সেই ব্যক্তি।

নেচারে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রের লেখক তথা ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যাসিয়ার সেইজ সিরিয়ন সংবাদমাধ্যমকে জানান, মহিলাদাতার নতুন কোষগুলি লিউকোমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কোষগুলিকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপিত করেছে। এর ফলেই রোগাক্রান্ত কোষগুলি একে একে ধ্বংস হয়ে যায়। এইচাইভি আক্রান্ত কোষগুলি ধ্বংস হয়ে নতুন কোষ তৈরি হওয়ায় ভাইরাসটিই শরীর থেকে ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যায়। ফলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা একদিক থেকে বিরলও বটে। একটা স্টেম সেল থেরাপির ফলে একইসঙ্গে এইচআইভি ও লিউকোমিয়া দুইই সেরে গিয়েছে ওই ব্যক্তির। যা দেখা যায় না বললেই চলে!