Belur: বেলুড়ে ভরদুপুরে অফিসে ঢুকে ৩৮ লাখ লুঠ, সর্ষের মধ্যেই ভূত!

ভয়াবহ ঘটনা হাওড়ার বেলুড়ে। একেবারে দিনের বেলায় বেলুড়ের ৭৭ নম্বর গিরীশ ঘোষ রোড এলাকায় এই ভয়াবহ লুঠপাটের ঘটনা। সূত্রের খবর, মহাবীর ট্রেডার্স নামে একটি অফিসে দুজন দুষ্কৃতী কার্যত জোর করে ঢুকে পড়ে । এরপর চলে লুঠপাট। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। প্রায় ৩৫-৩৮ লক্ষ টাকা তারা  হাতিয়ে নেয়। এরপর তারা চম্পট দেয়। 

পুলিশ ইতিমধ্যেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সেই ফুটেজ দেখে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। টাকা উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে। তবে পুলিশ এখনই তাদের নাম জানাতে চায়নি। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা এই ঘটনায় পরিচিত কেউ জড়িত থাকতে পারে। কারণ অফিসে  যে ৩০ লক্ষ টাকা আছে সেই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল। তার ভিত্তিতেই তারা এসেছিল। এটাও মনে করছে পুলিশ। 

সূত্রের খবর, সঞ্জয় ভুমনা নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই ছাট লোহার কারবার করেন। একটি বাড়ির নীচের তলায় তার অফিস রয়েছে। সেখানে ওই দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। পুলিশ অফিস কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে সবথেকে বড় ব্য়াপার হল এই ঘটনায় এলাকার আইন শৃঙ্খলা এবার প্রশ্নের মুখে। দুষ্কৃতীরা এল, লুঠপাট চালান আবার বেরিয়েও গেল। পুলিশ কোথায় ছিল? প্রশ্ন বাসিন্দাদের।

হাওড়া সিটি পুলিশ ও বেলুড় পুলিশ এনিয়ে তদন্তে নেমেছে। পুলিশ জানিয়েছে, একজন দুষ্কৃতী ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। টাকাটা অফিস থেকে নিয়েছে। ৩৫-৩৮লাখ নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এটা ডাকাতির ঘটনা নয়। কারণ ৫ জন লোক ছিল না। মহাবীর ট্রেডার্স বলে একটি কোম্পানি রয়েছে। চারজন মালিক রয়েছে। চাকু দেখিয়ে টাকা নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। টাকা কোথায় রয়েছে মোটামুটি সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যে কোম্পানিতে কাজ করে তার মধ্যেই কেউ জড়িত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, আমাদের পুরো টিম খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছি। কয়েকজনকে সন্দেহ করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।মূলত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তারপরই দুষ্কৃতীদের ব্যাপারে ইঙ্গিত মিলেছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup