Joe Biden Fall Viral Video: বিমানে উঠতে গিয়ে আচমকা পড়ে গেলেন, শরীর ঠিক আছে তো বাইডেনের? ভাইরাল ভিডিয়ো

আমেরিকার বৃদ্ধতম প্রেসিডেন্ট তিনি। বয়স ৮০ বছর। আগামী বছরের নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এই আবহে তাঁর শারীরিক সক্ষমতা এবং অবস্থা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে, বিমানে উঠতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মার্কিন প্রেসিডন্ট জো বাইডেন। পরে অবশ্য তিনি টাল সামলে নিজেই উঠে দাঁড়ান। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কৌতুহল বেড়েছে। এদিকে এভাবে পড়ে যাওয়ার জেরে বাইডেনের কোনও চোট লেগেছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও হোয়াইট হাউজের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার সময় আচমকাই হোঁচট খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মুখ থুবড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি টাল সামলে উঠে দাঁড়ান। এরপর সিঁড়ি বেয়ে উঠে প্রথা অনুযায়ী সকলের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন তিনি। পরে বিমানের ভিতরে চলে যান। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে পোল্যান্ডের ওয়ার্শোতে। চলতি সপ্তাহেই আচমকা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আমেরিকায় ফেরার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার ভোর ৪টা নাগাদ সবার নজর এড়িয়ে আমেরিকার বায়ুসেনার একটি বোয়িং ৭৫৭ বিমানে (সি-৩২ নামেও পরিচিত এই বিমান) চড়ে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দেন বাইডেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী, চিকিৎসকদের একটি ছোট দল। তাছাড়া কয়েক জন উপদেষ্টা এবং দু’জন সাংবাদিকও সঙ্গে ছিলেন তাঁর। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক সফরের সময় সাধারণত বাইডেন যেখান থেকে বিমানে ওঠেন, সেখানে ছিল না এই সি-৩২। তার বেশ কিছুটা দূরে এই বিমান রাখা ছিল। এই আবহে সংবাদমাধ্যমকে ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠতে সক্ষম হন বাইডেন। উল্লেখ্য, সাধারণত বাইডেনের বিদেশ সফরকালে ১৩ জন সাংবাদিকের একটি দল সঙ্গে যান তাঁর। তবে একনজ ফটোগ্রাফার এবং একজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়েই ইউক্রেনে গিয়েছিলেন বাইডেন।

বাইডেনের সঙ্গে ইউক্রেন সফরে থাকা সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এক ফটোগ্রাফারকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলে রাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস পরবর্তীতে তাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে। জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রেসিডেন্ট যত ক্ষণ না ফিরে আসছেন, তত ক্ষণ তাঁরা ফোন পাবেন না। প্রথমে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ওয়াশিংটন থেকে জার্মানির রামস্টেইনে নিয়ে যায় বিমানটি। সেখান থেকে প্রসিডেন্টকে নিয়ে যাওয়া হয় পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে একটি একালো কাচে ঢাকা সএইভি গাড়িতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ১০ ঘণ্টার সফর শেষে ইউক্রেনে পৌঁছন বাইডেন।