Arvind Kejriwal on Opposition Unity: মুম্বইতে ঠাকরে দর্শনের পর দিল্লি জয়ের সমীকরণের ‘ফর্মুলা’ বাতলে দিলেন কেজরিওয়াল

দেশের বর্তমান ‘সমস্যা’র সমাধানসূত্র বের করতে সকল বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে দেখা করতে হবে এবং আলোচনায় বসতে হবে বলে মত প্রকাশ করলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রসঙ্গত, গতকালই মুম্বইতে উদ্ধব ঠাকরের বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে আসেন আম আদমি পার্টির প্রধান। এরপরই বিরোধী নেতাদের একত্রিত হওয়ার ডাক দেন কেজরিওয়াল। এদিকে গতকালকের বৈঠকের পর কেজরিওয়াল আরও বলেন যে রাজ্যের মানুষ উদ্ধব ঠাকরের সাথেই দাঁড়িয়ে আছে। দল ও প্রতীক ‘চুরি’ হওয়া সত্ত্বেও উদ্ধবের দল আসন্ন সমস্ত নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে জয়লাভ করবে।

গতকালকে উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকে কেজরিওয়ালের সঙ্গে ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং এবং গৌরব চাড্ডা। বান্দ্রায় ঠাকরে পরিবারের বাসভবন মাতোশ্রী বাংলোতে এক ঘণ্টা ধকে তাঁদের বৈঠকটি চলে। এর আগে দলীয় প্রতীক হাতছাড়া হওয়ার পর উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, দেশে ভয় রয়েছে যে আজ বিজেপি শিবসেনার সাথে যা করেছে তা তারা অন্যদের সঙ্গেও করতে পারে। বিরোধী দল ও আঞ্চলিক দলগুলিকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। এর আগে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন যে তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্দের নেতৃত্বাধীন দলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন উদ্ধব।

এদিকে মুম্বইতে কেজরিওয়াল বলেন, ‘ভারতে একটাই দল আছে যারা সারাদিন নির্বাচনের কথা ভাবে। আমরা সেই দল নই। কৃষক ও বেকারত্বের মতো অনেক সমস্যা আমাদের সামনে রয়েছে। নির্বাচন এলে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশ তখন উন্নত হবে যখন আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখব, লড়াই করব না। দেশের মধ্যেই সব সমাধান আছে। কিন্তু আমরা দেখা করি না, আলোচনা করি না। এখন থেকে নিয়মিত (বিরোধী নেতাদের) দেখা করতে হবে।’ এদিকে শিবসেনা বিতর্ক নিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, তাঁর (উদ্ধব ঠাকরে) বাবা একজন সিংহ ছিলেন এবং তিনি (উদ্ধব) একজন সিংহের ছেলে। সুপ্রিম কোর্টে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন বলে আমার বিশ্বাস।’ পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য উদ্ধব ঠাকরের প্রশংসা করেন কেজরিওয়াল।