Arvind Kejriwal on Manish Sisodia: ‘গ্রেফতার করা হবে সিসোদিয়াকে’, সিবিআই জেরার আগে ডেপুটিকে নিয়ে বিস্ফোরক কেজরিওয়াল

আবগারি দুর্নীতি নিয়ে আজ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা সিবিআই-এর। তার আগেই অবশ্য বিস্ফোরক দাবি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিদ্ন কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির প্রধান দাবি করেন, মণীশ সিসোদিয়াকে আজ গ্রেফতার করতে চলেছে সিবিআই। উল্লেখ্য, মণীশকে আগেও তলব করা হয়েছিল। তবে বাজেট সংক্রান্ত কাজের জন্য সিসোদিয়া বাড়তি সময় চেয়েছিলেন সিবিআই-এর কায়েছ। সেই সময় মঞ্জুরও করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরপর সিবিআই জানায়, জেরার জন্য ২৬ তারিখ হাজিরা দিতে হবে সিসোদিয়াকে। এদিকে আম আদমি পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, সিসোদিয়া সৎ এবং তিনি সম্পূর্ণ ভাবে তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এদিকে এক সংবাদ চ্যানেলে কেজরি বলেন, ‘মণীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। আমাদের সূত্র বলছে রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হবে… এটা খুবই দুঃখজনক।’ (আরও পড়ুন: বৈঠকের পর প্রকাশ্যে G20 অর্থমন্ত্রীদের মতানৈক্য, রাশিয়া-চিনের বিপরীত মেরুতে ভারত)

এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দীর্ঘক্ষণ ‘তল্লাশি’ চালিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার অফিস থেকে একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সিবিআই-এর একটি তদন্তকারী দল দিল্লির সচিবালয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার অফিসে গিয়েছিল। তবে সেটিকে ‘অভিযান’ বলে আখ্যা দিতে অস্বীকার করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে আবগারি দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু রেকর্ড হাতে আসে। উল্লেখ্য, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। মুখ্য সচিবের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই এই সুপারিশ করেন ভিকে সাক্সেনা। দিল্লির মুখ্য সচিবের রিপোর্টে আবগারি নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সিসোদিয়ার পাশাপাশি দিল্লির তৎকালীন আবগারি কমিশনার আরভ গোপী কৃষ্ণের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখ্য, আবগারি দপ্তর সিসোদিয়ার অধীনে।

ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন সিসোদিয়ারা। ইডির অভিযোগ, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বার বার তাদের ফোন বদলে ফেলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটির আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এসব করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এজেন্সির তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, একাধিক মদ ব্যবসায়ী, সরকারের পদস্থ আধিকারিক, দিল্লি আবগারি মন্ত্রী(শিসোদিয়া), অন্যান্য অভিযুক্তরা বার বার ফোন বদলেছেন। ইডি জানায়, অন্তত ৩৬জন অভিযুক্ত গতবছরের মে থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্য়বহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। এর মধ্যে থেকে ১৭টি ফোন তারা বাজেয়াপ্ত করলেও সেখান থেকেও তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।