কথা শোনেনি পাঁচ বছরের ফুটফুটে মেয়ে, জীবন্ত জ্বালিয়ে খুন করলেন মা

এক্কেবারে কথা শুনত না পাঁচ বছরের মিষ্টি মেয়েটা। হয়তো একটু বেশিরকম দুষ্টু ছিল বাচ্চাটি। মায়ের কথা শুনত না সে। আর সেই রাগে নিজের মেয়েকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিলেন মা। অভিযোগ এমনটাই। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের ঘটনা। সোমবার সন্ধ্যায় মহম্মদপুরের বাদেরা গ্রামের ঘটনা। ভয়াবহ ঘটনা।

পুলিশ ইতিমধ্যেই আশা দেবী নামে ৩০ বছর বয়সী ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। তার স্বামী ভানু প্রতাপ সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দনা নামে ওই শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। একেবারে নারকীয় ঘটনা। মা হয়ে কীভাবে তুচ্ছ কারণে মেয়েকে এই শাস্তি তিনি দিতে পারলেন তা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না। 

ওই দম্পতির ১০ বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। তার নাম কুণাল। পুলিশ সূত্রে খবর, বন্দনা আর কুণাল বাইরে খেলাধুলা করছিল। সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে। তাদের চলে আসার জন্য বার বার বলছিলেন মা। কিন্তু তারা সেসব কথা কানে নেয়নি। 

এরপর ভাইবোন যখন বাড়ি ফেরে তখন তাদেরকে মা মারধর করেন। এরপর তিনি একটি স্যানিটাইজারের বোতল খুলে ফেলেন। তারপর আগুন ধরিয়ে দেন। দাউ দাউ করে জ্বলে যায় বন্দনা। এরপর অবশ্য় মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন মা। তার হাতদুটো ধরে ফেলেন। কিন্তু তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। ততক্ষণে সব শেষ। মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

আলিগড়ের এসপি(গ্রামীণ) পলাশ বনশল জানিয়েছেন,  প্রথম দিকে আশাদেবীর স্বামী অভিযোগ জানাতে চাননি। কারণ তাদের বাড়িতে সন্তানকে দেখার জন্য় আর কেউ নেই। কিন্তু আমরা বুঝিয়েছি যে অপরাধটি গুরুতর। তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। 

পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের লোকজন স্থানীয় এলাকায় শিশুটিকে কবরস্থ করেছিল। তারা চায়নি পুলিশ এর মধ্যে আসুক। তবে পুলিশ শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য় মৃতের হাড় সংগ্রহ করা হয়েছে।

তবে গোটা ঘটনায় মায়ের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। মাত্র ৫ বছর বয়স ছিল মেয়েটির। দাদার সঙ্গে খেলতে গিয়ে তার কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। দোষের মধ্য়ে এটাই করেছিল সে। বাড়ির ফিরে এসেছিল। আর সেই মেয়েকেই জীবন্ত পুড়িয়ে দিলেন মা।একথা শুনে শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ।