Child Marriage: এক মাসে একটিও নাবালিকা বিয়ে হয়নি অসমে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

গত এক মাসে একটিও চাইল্ড ম্যারেজ হয়নি অসমে। দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, গত একমাসে একটিও চাইল্ড ম্য়ারেজ অসমে হয়নি। কার্যত একেবারে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য।

সূত্রের খবর, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অসম সরকার নাবালিকা বিবাহ রুখতে একেবারে আদা জল খেয়ে ময়দানে নামে। গোটা রাজ্যজুড়ে শুরু হয় অভিযান। অন্তত ৪০০০ মামলা করা হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই ঘটনায় ৩,১৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। 

অসমের মুখ্য়মন্ত্রী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গত এক মাসে অসমে একটিও চাইল্ড ম্যারেজ হয়নি। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। সামাজিক এই অপরাধের বিরুদ্ধে যে অভিযান তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলেই। তিনি জানিয়েছে যতজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তার মধ্যে ৯০০ জন জামিন পেয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি ভেবেছিলাম হয়তো সাত-আট দিনের মধ্য়ে ওরা জামিন পেয়ে যাবেন. কিন্তু বেশিরভাগই ১৪-১৫ দিন পরে জামিন পেয়েছেন। আসলে বিচার ব্যবস্থাও আমাদের এই কাজের প্রশংসা করেছে। 

এদিকে গুয়াহাটি হাই কোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে এই সব মামলায় অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার কোনও দরকার নেই। 

নাবালিকা বিবাহ নিঃসন্দেহে সমাজের একটি বড় ক্ষত। আইনের চোখে এটা অপরাধ। তবুও অনেকে লুকিয়ে চুরিয়ে বিয়ের বয়স না হওয়ার আগেই মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেন। এমনকী ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে এনিয়ে ধরপাকড় চলে। তবে এবার এনিয়ে নজির তৈরি করল অসম। 

এদিকে আন্তর্জাতিক স্তরে এব্য়াপারে নানা পরিসংখ্যান রয়েছে। সেভ দ্য় চিলড্রেন নামক একটি সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, গোটা বিশ্বে অন্তত ৬০জন কন্যার দৈনিক মৃত্যু হয় নাবালিকা বিবাহের জেরে। কম বয়সে বিয়ের জেরে গর্ভবতী হওয়ার জটিলতা সহ নানা কারনে বছরে অন্তত ২২ হাজার কন্যার মৃত্যু হয় গোটা বিশ্বে। গোটা বিশ্বের মধ্যে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার অবস্থা ভয়াবহ। সারা বিশ্বের মধ্যে নাবালিক বিবাহ সংক্রান্ত অর্ধেক মৃত্যু এখানেই হয়। নাবালিকা বিবাহের হারেও শীর্ষে রয়েছে এই এলাকা। কম বয়সে মা হতে গিয়েও এখানে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

সাউথ এশিয়ান রিজিয়নে বছরে ২ হাজার কন্যার মৃত্যু হয় এই চাইল্ড ম্যারেজের জেরে। হিসাব অনুসারে দৈনিক প্রায় ৬জনের মৃত্যু হয় এখানে। পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক রিজিয়নে বাৎসরির এই খাতে ৬৫০জনের মৃত্যু হয়। ল্যাটিন আমেরিকায় এই সংখ্যা বাৎসরিক ৫৬০জন।

ভারতের বহু এলাকায় নাবালিকা বিয়ের নজির রয়েছে। কার্যত বিয়ে দিয়ে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হয় তাদের। এবার তার বিরুদ্ধে কার্যত সফলতা পেল অসম।