ED Raid in Chit Fund Case: ফের বাংলায় ইডির হানা, একযোগে ১৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার নগদ কোটি টাকা – ED conducted searches on at 15 premises located in Kolkata, Siliguri, Howrah & Agra against 2 chit fund companies

বাংলার চিটফান্ড মামলার তদন্ত যে ঠিক কতবছর আগে শুরু হয়েছিল, তা নির্দিষ্ট ভাবে মনে নেই অনেকেরই। তবে সেই চিটফান্ড মামলাতেই ফের একবার তৎপরতা দেখাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এবার ইডির নিশানায় ছিল বাংলার দুটি সংস্থা। জানা গিয়েছে, পিনকন এবং টাওয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা। এই দুই সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কলকাতার বিশিষ্ট আইনজীবী ও তাঁর আত্মীয়দের বাড়ি অফিস সহ একযোগে ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালাল ইডি। জানা গিয়েছে, এই তল্লাশি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি নগদ ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। (আরও পড়ুন: ১০ মার্চের ধর্মঘটের আগেই সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ ডিএ আন্দোলনকারীদের)

জানা গিয়েছে, পিনকন এবং টাওয়ার গ্রুপ চিটফান্ড সংস্থার তদন্তে গত ১ মার্চ কলকাতার বিশিষ্ট আইনজীবী ও তাঁর আত্মীয়দের বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারীরা। শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া, শিলিগুড়ি সহ মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে আগ্রাও রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এই তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীদের হাতে আসে মোট ১ কোটি ২৭ লক্ষ নগদ টাকা। এছাড়া কয়েকটি মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। গত সোমবার এগুলি উদ্ধার হলেও ইডির বিষয়টি জানানো হয় গতকাল।

যে সমস্ত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি থেকে পিনকন ও টাওয়ার গ্রুপ চিটফান্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্তকারীরা আশাবাদী, এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন, তা জানা যেতে পারে এই নথিগুলি খতিয়ে দেখে। ইডি সূত্রে খবর, মোটা টাকা সুদ দিয়ে বেআইনিভাবে বাজার থেকে প্রচুর টাকা তুলেছে পিনকন এবং টাওয়ার গ্রুপ। তারপর আর জনগণকে টাকা ফেরত দেয়নি। ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পিনকন এবং টাওয়ার গ্রুপের টাকা একাধিক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেই এবার তল্লাশিতে নেমেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা রাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবী ও তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন। সেই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই আইনজীবীকে অকারণে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন তিনি।