Bidyut Chakraborty: রাজ্যপালের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের, কি এমন ঘটল?

তিনি নাকি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। আর সেই হুমকি এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার পক্ষ থেকে বলে তাঁর অভিযোগ। আর তাই এখন তিনি চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। একদিকে নালিশ অন্যদিকে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাজল শেখ তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে চিঠিতে অভিযোগ–সহ নালিশ ঠুকেছেন তিনি। তাই নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

ঠিক কী বলেছিলেন কাজল শেখ?‌ অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূমের সংগঠন ধরে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসে বাড়তি জায়গা পান কাজল শেখ। শনিবার বোলপুরের কঙ্কালীতলার সভা থেকে কাজল যা বলেছেন তাতে আবার একদফা জেলার রাজনীতিতে আলোড়ন পড়েছে। উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে এদিন কাজল শেখ বলেন, ‘‌বিশ্বভারতীর পৌষমেলা, বসন্ত উৎসব নষ্ট করে আপনি যা করছেন তা আমাদের জন্য মোটেই ভাল নয়। এখনও সময় আছে। শুধরে যান, সাবধান হয়ে যান। তা না হলে কাজল–ঝড় উঠবে। না শোধরালে কাজল ঝড় উঠবে।’‌

কেন এমন চিঠি উপাচার্যের?‌ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সম্পর্ক কারও সম্পর্কই মধুর নয়। তিনি আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীদের গালিগালাজ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান পড়ে যাওয়া নিয়ে অন্যদের দায়ী করেন। এমনকী বসন্ত উৎসব বন্ধ করে প্রথা ভাঙায় বিতর্ক তৈরি করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে কাজল শেখের হুঁশিয়ারিকে তিনি প্রাণনাশের হুমকি হিসাবে দেখছেন। আর তাই সরাসরি রাজ্যপালকে নালিশ করে নিজের নিরাপত্তা চাইলেন তিনি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কাজল শেখ নানুর বিধানসভার কঙ্কালীতলার দলীয় মঞ্চ থেকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেছিলেন। আর তাতেই উপাচার্য ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। আবার একাংশ প্রাক্তনীরা মনে করেন, এটা উপাচার্যের রাজনৈতিক চাল। এভাবে নিজের জায়গা তৈরি করতে চাইছেন তিনি। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাই তাঁকে এখানে জড়িয়ে ফেলতে চাইছেন উপাচার্য। এটা কৌশলী পদক্ষেপ। কাজল শেখ উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘‌শুধরে যান, না হলে এমন ঝড় আসবে, এমন আন্দোলন সংঘটিত হবে, মানুষ প্রতিবাদে গর্জে উঠবে। আপনার পথ বদলান, শুধরে যান।’‌ তার পরই নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন উপাচার্য।