Haridevpur Incident: হরিদেবপুরে রাস্তা থেকে উদ্ধার যুবতীর মৃতদেহ, ঘটনার নেপথ্যে কি আছে?‌ তদন্তে পুলিশ

আজ, মঙ্গলবার দোলের সকালে হরিদেবপুরে রাস্তা থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবতীর মৃতদেহ। ওই যুবতীর গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। মৃত যুবতীর পরনে ছিল সালওয়ার কামিজ। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর বলে মনে করছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীকে রাস্তার উপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন তাঁরা হকচকিয়ে যান। আর হরিদেবপুর থানার পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যুবতীকে অন্যত্র খুন করে দেহ এখানে এনে ফেলা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। হরিদেবপুর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। তার পর হরিদেবপুরের গলিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃত যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি।

ঠিক কী ঘটেছে হরিদেবপুরে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিদেবপুর এলাকার নোনারমাঠের এক বাসিন্দা দোলের সকালে দেখেন, তাঁর বাড়ির পাশের গলিতে এক যুবতীর দেহ পড়ে রয়েছে। তখন তিনি পুলিশে খবর দেন। এমনকী তিনি নিজে কাছে গিয়ে দেখেন, মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। তখন তিনি হকচকিয়ে গিয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস দিয়ে যুবতীকে খুন করা হয়েছে। বাইরে খুন করে দুষ্কৃতীরা হরিদেবপুরের গলিতে ফেলে গিয়েছে দেহ। তবে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ঘটনার পর এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মাঝরাতে ওই এলাকায় কোনও গাড়ি এসেছিল কিনা, কে বা কারা দেহ ফেলল, তখন যুবতী বেঁচে ছিল কিনা—সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, যুবতীকে খুন করে মোটরবাইকে করে এনে এখানে ফেলা হয়নি। গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই রাতে আসা গাড়ির নম্বর জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ওই যুবতী এলাকার বাসিন্দা নন। তাই তাঁকে কেউ চেনেন না। এই মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup