Islampur Incident: বোমার আঘাতে মৃত্যু সিভিক ভলান্টিয়ারের, রাজনৈতিক বিবাদেই কি সংঘর্ষ?‌

পুরনো রাজনৈতিক বিবাদকে কেন্দ্র করে দু’‌পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। তার জেরে চলল গুলি–বোমা। আর এই বোমার আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার দক্ষিণ মাটিকুন্ডা এলাকার এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভাই। এই বোমার আঘাতে মাথার একটা অংশ উড়ে গিয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারের বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছে ইসলামপুরে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই সংঘর্ষ ঘটে। দীর্ঘদিন ধরেই সাহানাবাজ আলম এবং মেহেবুব আলমের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ চলছিল। মেহেবুব আলম মাটিকুন্ডা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অভিযোগ বুধবার বেশি রাতে সাহানাবাজের বাড়িতে প্রধান মেহেবুব আলম ও তার লোকজন গিয়ে সাহানাবাজ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। তখনই চলে গুলি ও বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় সাহানাবাজ আলমের ভাই শাকিব আখতারের। শাকিব সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন।

এদিকে মৃতের নাম শাকিব আখতার (৩০)। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। শাকিবের আত্মীয় নওশাদ আলির অভিযোগ, ‘ও ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে খেতে বসেছিল। তখন প্রধানের দলবল এসে বাড়িতে বোমা মেরেছে। তাতে ওর মাথা উড়ে গিয়েছে। এই ঘটনা রাজনীতির কারণেই ঘটেছে। কারণ শাকিবের দাদা শাহনওয়াজ আলম আবদুল করিম চৌধুরীর গোষ্ঠীর। পুলিশের সামনেই তাদের বোমা ছুড়েছে।’

অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার ইসলামপুর থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক। খবর পেয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসেন ইসলামপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমের সামনে পুলিশ ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা থাকার কারণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার বিশপ সরকার বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।’‌