Kashmir Ceasefire Issue: কাশ্মীরে সংঘর্ষ বিরতিতে নেহরুর সিদ্ধান্ত ঘিরে নয়া দাবি রিপোর্টে! টুইটে খোঁচা শশীর

স্বাধীনতার পর কাশ্মীরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘণ নিয়ে জওহারলাল নেহরুর সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা সময়ই চর্চা হয়েছে। তবে সদ্য প্রকাশিত এক বিদেশি মিডিয়ার খবরে সেই ঘটনা নিয়ে বেষ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। যা নিয়ে আলোচনা থামার নাম নেই! সেই সময়ের কমান্ডার-ইন-চিফ স্যার ফ্র্যান্সিস রবার্ট রয় বুচার জানিয়েছিলেন যে, সেনা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, কাশ্মীরে সংঘাত রোখার জন্য রাজনৈতিক সহায়তা প্রয়োজন। তারপরই সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি নিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহারলাল নেহরু সমঝোতার রাস্তায় হাঁটেন বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। যে রিপোর্টটি টুইট করে কংগ্রেসের নেতা শশী থারুর লেখেন ‘ফ্যাসিনেটিং’!

উল্লেখ্য, ওই বিদেশি মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেহরু সেই সময় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁর সেনার প্রধান কমান্ডার স্যার ফ্র্যান্সিস রবার্ট রয় বুচারের পরামর্শে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সেনার কমান্ডার ইন চিফের তরফে ১৯৪৮ সালের ২৮ নভেম্বর, পাঠানো এক চিঠিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে সেই সময়ের সেনা কমান্ডার জানিয়েছিলেন, ‘সেনা কর্মীদের দুটি দুর্বলতা প্রমাণ করে, জুনিয়র নেতৃত্বের প্রশিক্ষণের অভাব, অন্যান্য পদে ক্লান্তি এবং বিরক্তি … সংক্ষেপে, সেনাবাহিনীকে ছুটি, প্রশিক্ষণ এবং প্রাণবন্ত করার জন্য অবকাশ প্রয়োজন।’ এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত যাতে প্রধানমন্ত্রীর তরফে আসে, সেই চেষ্টা করতে থাকেন, স্যার ফ্র্যান্সিস রবার্ট রয় বুচার। তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে সতর্ক করেন যে, পাকিস্তান যুদ্ধের রাস্তায় হাঁটতে চাইছে, আর ভারতের সেনা পজিশনকে বোমায় ওড়াতে চাইছে। এই বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি। এই গোটা রিপোর্ট টুইট করে বাঁকা সুরে শশী থারুর লেখেন ‘চিত্তাকর্ষক’! ( পায়রার পায়ে বাঁধা সন্দেহজনক ডিভাইস, ডানায় লেখা ‘বার্তা’! ওড়িশায় তীব্র চাঞ্চল্য)

প্রসঙ্গত, কাশ্মীর ইস্যুতে জওহরলাল নেহরুর পদক্ষেপ নিয়ে বারবার সমালোচনার ঝড় তোলেন বিজেপি নেতারা। সদ্য ২০২২ সালে অক্টোবরে, বিজেপি দাবি করে কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপের নিরিখে যাতে কংগ্রেস ক্ষমা চায়। বিজেপির গৌরব ভাটিয়া বলছেন, ‘সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলে দেশের কোনও অংশ পাকিস্তানের দখলে থাকত না।’ তিনি বলছেন, ‘কংগ্রেস তখন থেকে মিথ্যা করে এবং বিষয়টি নিয়ে সত্য চাপা দেয়। এরপর নেহরু রাষ্ট্রসংঘে একটি ‘অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ নিয়ে গিয়েছিলেন এবং পাকিস্তানকে একটি পক্ষ বানিয়েছিলেন।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও উল্লেখ করেছেন তাঁর টুইটে এই অভিযোগ প্রসঙ্গের। তিনি দাবি করেন, ‘সাত দশক নষ্ট হয়েছে নেহরুর ভুলের জন্য’।