Purba Medinipur: পুলিশ সুপারের নিরাপত্তারক্ষীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, রহস্যটা কী?

একেবারে খোদ পুলিশ কুমারের সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল কোয়ার্টার থেকে। মৃতের নাম  অরুণ কুমার চৌধুরী। তিনি সাব ইনসপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার পুলিশ সুপারের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। শুক্রবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীর কোয়ার্টার থেকে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটালেন তিনি? 

সূত্রের খবর,ইদানিং শারীরিক দিক থেকে তিনি কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। এর জেরে তিনি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে তিনি বেরবেন তা হয়তো বুঝতে পারছিলেন না। তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে চাকরির একেবারে শেষ সীমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তবে সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পূ্র্ব মেদিনীপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে বিভিন্ন থানায় তিনি কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়িও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই। তাঁর আসল বাড়ি জেলার তমলুক থানার হরিদাসপুর গ্রামে। তাঁর দুই ছেলেও রয়েছে। তাঁর স্ত্রীও রয়েছেন। তবে দুই ছেলেও প্রতিষ্ঠিত। তারপরেও তিনি চরম পথ বেছে নিলেন। 

তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তিনি তাঁর শরীর খারাপ সংক্রান্ত কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বিগতদিনে তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর এদিন সেই পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার হল ঝুলন্ত অবস্থায়।  এদিন দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে জেলার পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর কারণটা জানা যাবে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মৃতের পরিবারের তরফে সংবাদমাধ্য়মের সামনে কিছু জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে বিক্রমগড়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। দোলের দিন বিক্রমগড়ে লিভ ইন পার্টনারকে ছুরিকাঘাত করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক যুবক। সেই ঘটনায় নয়া তথ্য পেল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, ওই যুবক লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে বচসার জেরে রাগে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, লিভ ইন পার্টনারকে ছুরিকাঘাত করার পরেই ওই যুবক ভেবেছিলেন তিনি হয়তো মারা গিয়েছেন। সেই ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওই যুবক লিটন দাস। উল্লেখ্য, ওই যুবতীর নাম প্রীতি সরদার। তাকে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির বাইরে থেকে উদ্ধার করেছিল।