একটা চাকরি বিক্রি করেই শান্তনুর পেতেন ১ বছরের বেতনের সমান টাকা

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শুক্রবার তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। শনিবার আদালতে পেশের পর তাঁকে ২ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে শান্তনুর রকেট গতিতে উত্থান। সামান্য মোবাইল ফোন মেকানিক থেকে কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্যের মালিক তিনি হয়েছেন মাত্র কয়েক বছরে। তবে তার আগে তাঁর কোনও অভাব ছিল ভাবলে ভুল করবেন। কারণ, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিতে চাকরি করেন শান্তনু। দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মাসে কয়েকবার এসে দফতরে হাজিরা দিয়ে যান তিনি।

বলাগড় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্মী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর কয়েক আগে স্থান পরিবর্তন হয়েছে সংস্থার দফতরের। পাশেই একটি বাড়িতে সরে গিয়েছে দফতরটি। তার নীচের এক দোকানি বললেন, শান্তনুকে ভালো চিনি না, তবে ওর বাবাকে চিনি। উনি আমার দোকানে বসে গল্পগুজব করতেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি মারা যান। তখন শান্তনুর বয়স কম। বাবার চাকরি পান শান্তনু। তার পর নেতা হয়ে ওঠেন। প্রথম দিকে নিয়মিত অফিসে এলেও বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁকে মাসে দু এক দিন দেখা যেত। গাড়ি করে নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে অফিসে আসতেন তিনি। সই করে চলে যেতেন।

শনিবার আদালতে ইডি জানিয়েছে, শান্তনুর মোট ২০টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাৎসরিক বিনিয়োগ তাঁর আয়ের থেকে ঢের বেশি। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্মী হিসাবে তাঁর বেতন হতে পারে বাৎসরিক ২ – ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ইডির দাবি, একটি চাকরির বিনিময়ে শান্তনু ৪ – ৫ লক্ষ টাকা নিতেন। যা শুনে বলাগড়ের স্থানীয় এক ব্যক্তি বললেন, সারা বছরের বেতনের সমান টাকা আয় করতেন একটা চাকরি বিক্রি করে। তবু ওই কটা টাকার জন্য মাঝেমাঝে অফিসে আসত তো…