MEA Report on Pakistan: ২৬/১১ মুম্বই হামলার ন্যায় বিচারে ‘আন্তরিকতা’ এখনও দেখায়নি পাকিস্তান, বার্তা দিল্লির

বিদেশমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টে কার্যত ফের একবার পাকিস্তানকে তুলোধোনা করে ছাড়ল ভারত! ইসলামাবাদের প্রতি সরাসরি বার্তায় এস জয়শঙ্করের মন্ত্রকের রিপোর্ট দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বিদেশমন্ত্রকের ২০২১-২২ এর রিপোর্টে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় দিল্লি। একই সঙ্গে পাকিস্তানকে ফেরএকবার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে দিল্লি বার্তা দিয়েছে যে, ২০০৮ সালে মুম্বইতে জঙ্গি হামলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আজও ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।

বিদেশমন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাস হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত আন্তরিকতা দেখাতে পারল না। তার জায়গায় এখনও অস্পষ্টতা ও দেরি করার কৌশলই নিয়ে চলেছে তারা। যেখানে আমরা বারবার পাকিস্তানের কাছে আর্জি জানিয়েছি ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের নেওয়া প্রতিশ্রুতি, যাতে বলা হয়েছে, তাদের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসকে লালন পালন করা হবে না,  তা মেনে চলতে। তবে সন্ত্রাস দমন, অনুপ্রবেশ, ভারতে অবৈধ অস্ত্র পাচার রুখতে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি।’ প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের বুকে জলপথে মুম্বই শহরের একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় পাকিস্তানের যোগ থাকার প্রভূত প্রমাণ পেয়েছিল ভারত। সেই প্রমাণ পেশও করা হয় ইসলামাবাদের কাছে। তবে তাতে আমল দেয়নি পাকিস্তান। মুম্বইয়ের সেদিনের ঘটনায় দেড়শোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন ২৬ জন বিদেশী। আহত হয়েছিলেন ৩০০ জন। আর গোটা মুম্বই শহর ঘিরে ছিলে আতঙ্কের রেশ। (‘শ্রীকৃষ্ণ যেভাবে…’ যোগীর সঙ্গে তুলনা টানলেন গড়করি, উঠল ‘রামরাজ্য’ প্রসঙ্গ )

এদিকে, সদ্য বিলাওয়াল ভুট্টোর মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয়েছে দেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে বিলাওয়ালের মন্তব্যের পর বিদেশমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, ‘পাকিস্তানের নেতারা নিজেদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে কোনও খামতি দেখাচ্ছেন না। তাঁদের অলঙ্করমূলক ও অগ্নিসংযোগকারী ভাষণ তাঁরা ভারতের বিরুদ্ধে চালিয়ে যাচ্ছেন। অমনকি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও এমন মন্তব্য করছেন। যাতে তাদের (পাকিস্তানের) অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি থেকে নজর সরানো যায়।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup