কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘দাপট’, দিল্লিতে বিরোধীদের সঙ্গে বসবেন মমতা! কংগ্রেস থাকবে?

মঙ্গলবার রাজধানীতে আদানির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদ মিছিল। কিন্তু সেখানে দেখা নেই তৃণমূলের। তবে এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে দেখা করতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে যেতে পারেন। 

এক শীর্ষ তৃণমূল নেতা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই দিল্লিতে আসতে পারেন দলের সুপ্রিমো। তবে তাঁর সফর সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ওই নেতৃত্ব জানিয়েছেন মোটামুটিভাবে মার্চের শেষে অথবা এপ্রিলের প্রথমদিকে দিল্লি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সূত্রের খবর, মমতা দিল্লিতে এলেও কংগ্রেসের কোনও নেতৃত্বের সঙ্গে সম্ভবত বৈঠক হবে না। 

তবে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেত্রী? সূত্রের খবর, একাধিক বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিরোধীরা। সেখানে যারা সই করেছিলেন তাঁদের সঙ্গেই দেখা করতে পারেন মমতা। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওই চিঠিতে সই করেছিলেন। 

তবে ওই চিঠিতে কংগ্রেস, জেডিএস, জেডিইউ, সিপিএমের কেউ সই করেননি। সেই চিঠিতে সই করেছিলেন বিআরএস নেতা কেসিআর, জেকেএনসি প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ, এনসিপি চিফ শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ এই চিঠিতে সই করেছিলেন।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লিতে গিয়েও কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠক করবেন না মমতা, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের শোরগোল পড়তে পারে রাজধানীতে। 

তবে একাধিক বিরোধী নেতাকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখোমুখি হতে হয়েছে। একদিকে লালু প্রসাদ যাদবের পরিবার, অন্য়দিকে কেসিআরের কন্য়াকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখে পড়তে হয়েছে। এদিকে দুজন আপ নেতা বর্তমানে জেলের আড়ালে রয়েছেন। এদিকে বাংলাতেও একের পর এক তৃণমূল নেতাকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখোমুখি হয়েছেন। একাধিক বিধায়ক বর্তমানে জেল খাটছেন। শিক্ষা দফতরের নানা দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তোলপাড় হচ্ছে বাংলা। আর বর্তমানে জাতীয় দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীতে সরব হয়ে কি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে চাপে রাখতে চাইছেন মমতা? এতে কি তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রুখতে পারবেন?