Fatty Liver Disease: হাঁটাচলার ধরনই বলে দেবে আপনি মারাত্মক রোগের শিকার! কী সেই মারাত্মক রোগ জানুন

শুনতে আশ্চর্যজনক লাগতে পারে। এবারে নজরে রাখতে হবে হাঁটাচলার দিকে। আমরা কজন নিজের হাঁটার দিকে নজর রাখি। এত সময়ই বা কোথায়? কিন্তু তা বললে তো চলবে না,  রাখতে হবে তীক্ষ্ণ নজর। কারণ জানলে চমকে যাবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে আপনার যদি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে থাকে। এবং সেটি এক মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায় তাহলে হাঁটাচলায় এর প্রভাব পড়ে। বিকৃত ভাবে হাঁটতে থাকে এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা। নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর আর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। চলতে চলতে পড়ে যাওয়ার প্রবলতা  লক্ষ্য যায়। বাড়িয়ে দেয় ঝুঁকি। তবে এই প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি কমাতে আজই করুন কিছু সহজ উপায়।

আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার। এর কাজ টক্সিন নিয়ন্ত্রণ, রক্তে রাসায়নিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। পাকস্থলী ও অন্ত্রের মাধ্যমে সমস্ত রক্ত লিভারে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে লিভারের প্রায় ৫০০ অধিক কাজের কথা বলা হয়েছে। ফ্যাটি লিভার, লিভারের একটি সাধারণ রোগ। লিভারের কার্যকারিতা ঠিক ভাবে না হলে, অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে জমতে লিভারকে ক্ষতিগ্রস্থ করে দেয়।

আপনার হাঁটাচলার সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে ফ্যাটি লিভারের? চিকিৎসকেরা বলছেন আপনার যদি ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে থাকে এবং সেটি এক মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায় তাহলে আপনার হাঁটাচলায় এর প্রভাব পড়ে। বিকৃত ভাবে হাঁটতে থাকে এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা। কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন লিভারে এই রোগ হয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞরা ফ্যাটি লিভারকে দুই ভাগে ভাগ করে থাকেন-

অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।

নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।

চিকিৎসকরা বলেন নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার স্নায়বিক রোগে ঝুঁকির কারণ। একটি খারাপ লিভার দৈনন্দিন সকল কাজকে প্রভাবিত করতে পারে, আপনার আচরণ, মেজাজ, ঘুম এমনকি আপনার হাঁটাচলাকেও। আপনি যদি চলতে চলতে পড়ে যান, অথবা আপনার হাঁটা চলাতে কোনও বিকৃতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে আপনি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। হাঁটাচলার বিকৃতিকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় অ্যাটাক্সিয়া।

লিভারের যত্ন নেওয়ার জন্য করুন কিছু উপায়

বাড়তি ওজন কমান

আপনার বাড়তি ওজন ফ্যাটি লিভার কে নির্দেশ করে থাকে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ লিভার ডিজিজের অনুসারে ওজন হ্রাস আপনাকে এই ঝুঁকির হাত থেকে রেহাই দেবে।

ভেষজ খবার খান

ফ্যাটি লিভারের আরও একটি বড় কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। অতিরিক্ত তেলে ভাজা, মশলাযুক্ত খাবার চর্বি বাড়িয়ে দেয়। সেক্ষত্রে শাকসবজি, নানা ধরনের ফল আপনার চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

কফি খান

চিকিৎসকদের মতে লিভারের জন্য কফি খুবই উপকারী। এটি প্রদাহ কমায়। এর মধ্যে থাকা এনজাইমগুলি রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ২-৩ কাপ কফি লিভারের রোগের ঝুঁকি কমায়। তবে এক্ষেত্রে ব্ল্যাক কফি অনেক বেশি কার্যকরী।

ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার খান

চিকিৎসকেরা লিভার ভালো রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হল পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা বাদাম এবং বীজের মতো খাবারে পাওয়া যায়।

উল্লেখিত, সকল টিপস এবং পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা। যে কোনও ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করার আগে বা আপনার ডায়েটে কোনও পরিবর্তন করার আগে সর্বদা আপনার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করুন।