Sukanya Mondal: নয়াদিল্লিতে যাচ্ছেন না অনুব্রতর মেয়ে!‌ আইনজীবী দিয়ে চিঠি পাঠালেন সুকন্যা

সাড়ে সাত ঘণ্টা জেরার পর মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার ইডির ডাকে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল আদৌ হাজির হবেন নাকি অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যাবেন তা নিয়ে একটা সন্দেহ ছিলই। এবার সেই সন্দেহ সত্যি করে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা। সূত্রের খবর, ইডি অফিসারদের কাছে ইতিমধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সুকন্যা। আজ, বুধবার এই নিয়ে নিজের মুখে কোনও কথা অবশ্য বলেননি সুকন্যা মণ্ডল।

ইডি সূত্রের খবর, এই সুকন্যা এবং জনৈক বিদ্যুৎবরণ গায়েন মিলে নীর ডেভেলপার নামের একটি কোম্পানি খুলেছিলেন। এই কোম্পানির খাতায় ছিল ৯০ কাঠা খালি জমি। ইডির দাবি, প্রথমে ১৬ জন শেয়ার হোল্ডারের সঙ্গে চুক্তিপত্র গঠন করেন বিদ্যুৎ এবং সুকন্যা। পরে ওই জমির মালিকানা পুরোটাই তাঁরা নিয়ে নেন। এছাড়াও আরও একটি মোবাইল সরঞ্জাম সামগ্রীর কোম্পানিও সেই হিসেবরক্ষকের কেরামতিতে বাজারমূল্য থেকে কম দামে সুকন্যার নামে কেনা হয়েছিল। এসব জানতেই তলব করা হয়েছিল সুকন্যাকে।

এদিকে আজ, বুধবার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সুকন্যা মণ্ডলের। কিন্তু তিনি যেতে পারছেন না বলে জানালেন ইডি অফিসে। যদিও এই না যাওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। গরু পাচার মামলার নানা তথ্য পেতে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতির সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ইডির দাবি, অনুব্রতর নির্দেশে এই গোটা প্রক্রিয়ার পিছনে ছিল তাঁর হিসেবরক্ষক। ঠিক করা হয়েছিল, বুধবার সুকন্যা ‘প্রবর্তন ভবন’–এ এলে এই বিষয়েই মনীশ ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

অন্যদিকে ইডির দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে–বেনামে প্রচুর ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছে এবং তার মাধ্যমেই গরু পাচারের বিপুল টাকা হাতানো হয়েছে। সমবায় ব্যাঙ্কে প্রায় ৩০০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে বিভিন্ন নথি মণীশের সামনে রেখে তাঁর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এসবের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই হিসেবরক্ষক। তখনই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারী অফিসাররা। মেয়ে সুকন্যা, হিসাবরক্ষক মণীশ–সহ ১২জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় তারা। এমনকী সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক, অনুব্রতর সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী তাপস মণ্ডলের নামও রয়েছে।